অবতক খবর: হাওড়ার পাঁচলা এবং মালদার বামনগোলার পাকুয়াহাটের ঘটনায় বড়সড় প্রস্তুতি নিল বিজেপি। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় এলাকায় ধর্না কর্মসূচি নেবে বিজেপি মহিলা মোর্চা।বামনগোলা কান্ডে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিস সুপারের পদত্যাগের দাবী নিয়ে পুলিস সুপারের দফতরের সামনে ২০ ঘন্টার বেশী সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বিজেপি নেতা এবং সাংসদ খগেন মুর্মু।

মালদহের ঘটনা নিয়ে শাসকদল তৃণমূল দাবি করেছে, একটি স্থানীয় চুরির ঘটনাকে রাজনীতির রূপ দিতে চাইছে বিজেপি। অন্য দিকে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, হাওড়ার পাঁচলা এবং মালদহের বামনগোলার যে ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, তা থেকেই পরিষ্কার রাজ্যে মহিলাদের ওপর কী ভাবে অত্যাচার হয়। শুধু রাজ্য বিজেপিই নয়, এ নিয়ে সরব কেন্দ্রীয় নেতারাও। তাঁরাও লাগাতার টুইট করে চলেছেন। পাশাপাশি এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, ‘‘যা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা চাই এর বিহিত হোক। সেই কারণেই আমরা কলকাতায় ধর্নায় বসতে চলেছি। স্থান এবং দিন এখনও চূড়ান্ত না হলেও কর্মসূচি হচ্ছেই। বাংলা যে গোটা দেশের কাছে লজ্জার কারণ হয়ে উঠেছে, তা সকলের সামনে তুলে ধরা দরকার।’’ একই সঙ্গে ফাল্গুনী বলেন, ‘‘এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক জন মহিলা। তার পরেও এখানে মহিলাদের ওপরে অত্যাচার নিয়ে সরকার চুপ।’’ ফাল্গুনী জানিয়েছেন, মোর্চার ধর্না মঞ্চের পাশেই রাজ্যে কোথায় কোথায় মহিলাদের ওপরে অত্যাচার হয়েছে, তার ছবি টাঙানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই না এই ধরনের ভিডিয়ো ভাইরাল হোক। নারীর লজ্জা মানে সমাজের লজ্জা। আমাদের কর্মীদেরও বলব এই ধরনের বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ হোক, আইনি পদক্ষেপ হোক কিন্তু ভিডিয়ো ভাইরাল করে বাংলার লজ্জা, বাংলা মায়ের লজ্জা বাড়াবেন না।’’

মালদহের ঘটনা নিয়ে সরব বিজেপির ইংরেজ বাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্রও। তিনি রবিবার বলেন, ‘‘বামনগোলার পাকুয়াহাটেও ঘটনা তো একটা উদাহরণ। এমনটা রোজই ঘটছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলাদের উপরে অত্যাচার হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পরেও এই রাজ্যের মহিলা, শিশু কেউ শাসকের অত্যাচার থেকে বাঁচেননি। এর সুরাহার জন্য সকলের বিষয়টা জানা উচিত। তবে আমি মনে করি, মহিলাদের বিবস্ত্র করার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া উচিত নয়। লজ্জার অংশ ঢেকে তবেই তো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা উচিত। না হলে গোটা সমাজটাই বিষিয়ে যাবে।’’