অবতক খবর: বেসরকারি বাসে কিউআর কোড বেসড টিকেটিং সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে একাধিক বেসরকারি বাসমালিক সংগঠন।এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে সরকারি পরিবহণ নিগমও। কারণ  কিউআর কোড বেসড টিকিট চালু হলে একদিকে যেমন বাসের ভিতর খুচরো সমস্যা মিটবে। তেমনই বাসের টিকিট বিক্রি থেকে টাকা চুরি অনেকটাই আটকানো যাবে। তাই নয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগ্রহ বেশি বাসমালিকদের। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

জানা গিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ থাকবে। যাত্রীদের সেই অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। তারপর তাতে ঢুকে কত নম্বর বাসে কোথা থেকে কোথায় যেতে চান, তা লিখলে ওই যাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট ভাড়া কেটে নেবে। মোবাইলে একটি মেসেজ পাবেন যাত্রী। বাসে উঠে কিউআর কোড স্ক্যানারে সেটা স্ক্যান করলেই টিকিট মোবাইলে চলে আসবে। কন্ডাক্টর দেখতে চাইলে মোবাইলে আসা মেসেজ দেখালেই হবে।

যে সংস্থা বাসে ই-টিকেটিং চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে, তার এক আধিকারিক জানান, বাসের ভিতরে অন্তত ৩০ জায়গায় কিউআর কোড স্ক্যানার আটকানো থাকবে। যাতে ভিড় হলেও যাত্রীদের টিকিট স্ক্যান করতে সমস্যা না হয়। ফাঁকা বাসে তো কোনও অসুবিধাই নেই টিকিট কাটতে।

বেসরকারি বাসমালিকরা জানাচ্ছেন, নয়া প্রক্রিয়া চালু হলে, বাসে টিকিট চুরি অনেকটাই আটকানো যাবে। কারণ মালিকরা মেসেজ পাবেন, কত যাত্রী তাঁর বাসে উঠেছেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে টাকা। পাশাপাশি খুচরো সমস্যা মিটবে। টিকিট কাটার পুরো প্রক্রিয়াটাই পেপারলেস হবে। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন,”কিউআর কোড বেসড টিকিট সিস্টেম আমরা বাসে চালু করতে আগ্রহী। আমাদের রুটের বাসে চালুর বিষয়ে কথাবার্তাও অনেকদূর এগিয়েছে এক সংস্থার সঙ্গে।”

পুজোর আগেই এই প্রক্রিয়া নিউটাউন, সল্টলেকের বাসে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমে এসি তারপর মূলত অফিসযাত্রীরা যে বাসে যাতায়াত করেন, সেই রুটে এই স্মার্ট টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হবে। তবে সরকারি বাসে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।