বিরল দৃষ্টান্তের অধিকারী বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের আজ মহাপ্রয়াণ দিবস।
অত্যাচারীকে হত্যা এবং বিপ্লবীকে রক্ষা দুটি মহান কাজ একই সঙ্গে করে গিয়েছিলেন বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্য।
পৃথিবীর ইতিহাসে এই বৈপ্লবিক ঘটনা অদ্বিতীয়। কানাইলালের জন্মদিন কেউ জানে না। তাঁর মৃত্যুদিন লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়।
কানাইলাল
তমাল সাহা
যার জন্মদিন কেউ জানে না, তার মৃত্যুদিন সকলেই
জানে।
মৃত্যুদিন দেখে বোঝা যায় আসল জীবন ও জন্মদিনের মানে।
প্রতিশোধ কিভাবে নিতে হবে,বিপ্লবীকে ফাঁসির দণ্ড দেবার?
গার্লিক, তুমি বড় বিচারক হয়েছো বটে!
নাও গুলি খাও এবার।
ছাতার আসল উপযোগিতা কজনাই বা জানে?
বগলে ছাতা কানাই ঢুকে পড়ে আলিপুর কোর্টে, দ্রুত হাঁটে এজলাস পানে।
গর্জে ওঠে ছাতার আড়ালে লুকানো পিস্তল
এক গুলিতেই বিচারক গার্লিক ধরাতল।
বিপ্লবীকে তো বিপ্লবীই বাঁচায়
বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্তকে পুলিশ খুঁজে খুঁজে হন্যে।
তুমি বড় সুকৌশলী বিপ্লবী, ঘুরিয়ে দিলে পুলিশের দৃষ্টি
ছদ্মনাম নিলে তারই তাকে বাঁচানোর জন্যে।
পটাশিয়াম সায়ানাইড মুখে পুরে দিলেও মৃত্যু হবে কি তোমার! সন্দেহ ছিল বটে। পুলিশের গুলিতে বুক হলো ঝাঁঝরা
একই সঙ্গে দুই প্রক্রিয়ায় তোমার মৃত্যু ঘটে।
পকেটে পাওয়া গিয়েছিল চিরকুট—
ধ্বংস হও। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসি দেবার পুরস্কার লও— বিমল দাশগুপ্ত।
মহামিথ্যুক তুমি!
বিমল দাশগুপ্তকে বাঁচাতে তুমি দীপ্ত কানাই
বিপ্লবীকে বাঁচাতে বিপ্লবীর আত্মত্যাগ এমন ঘটনা পৃথিবীতে দ্বিতীয় নাই।
বদলা ও বিপ্লবীকে রক্ষার দুটি কাজ
একই সঙ্গে করে গেছো তুমি কানাই।
বিপ্লবীর মা বুদ্ধিমতী মহীয়সী এমনই হয়
মৃতদেহ দেখে বলে, না! না! এ আমার কানু নয়।