অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোট শেষের পরেও অশান্তি অব্যাহত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জনপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে খু*ন জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। গুলিতে জখম তৃণমূল নেতার এক প্রতিবেশী।আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কে বা কারা গুলি চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মগরাহাট থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী অশান্তিতে উত্তপ্ত নদিয়ার নাকাশিপাড়া। নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নাকাশিপাড়ার বীরপুরে।
মগরাহাটের তৃণমূল প্রার্থী প্রায় প্রতিদিনের মতো নির্দিষ্ট সময়ে শুক্রবার রাতে মৈমুর ঘরামি নামে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই বাইকে ছিলেন তাঁর ভাইও। অভিযোগ, বাড়ি থেকে মাত্র ১০ ফুট দূরে তাঁকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ধিরে ধরে। ওই তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। মৈমুরের চিৎকার শুনে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন শাহজাহান মোল্লা নামে আরেক প্রতিবেশী। তাঁকেও লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলেই অভিযোগ।
এদিকে, নাকাশিপাড়ার ঘটনায় নিহত খবির শেখ, নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বীরপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ১০-১২ জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। উঠোনে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হতে থাকেন। বেগতিক পরিস্থিতি বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় খবিরকে উদ্ধার করা হয়। বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। পরিবারের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে খবিরকে। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খুন নাকি খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই কাজ করল, তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।