অবতক খবর,৩০ জুলাইঃ আজ বহরমপুরে জেলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সিপিআইএমের সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। তিনি তেলাক কমিটির সবাই উপস্থিত হয়ে দিক বৈঠকে বললে ন, যে আজ সভা শুরু হওয়ার আগে যেখানে রিং টু সে খুন যেখানে ভোটের দিন হামলা হচ্ছিল সেইখানে ভোট দিবার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমাদের প্রার্থী তার ভাসুর।
তাকে এবং আরো ৯ জনকে তার মধ্যে ষাট এবং ৭০ বছরের মানুষদের মাথায় সেলাই করা আছে দেখা যাচ্ছে তাদেরকে মাথায় আঘাত করেছে হত্যার উদ্দেশ্যে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বললেন মোহাম্মদ সেলিম তিনি আরো বলেন যে ওখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছিল বলে জানান ওখানকার মানুষজন বারোটার পর যখন ওরা বুঝতে পারে যে ওদের অবস্থা খারাপ হারার মতো পজিশনে এসে চলে আসছে তখন বিধায়কের গাড়িতে করে লোক এনে মানুষের উপর হামলা চালায়।
ওরা যেহেতু পঞ্চায়েতকে লুটের কাজে ব্যবহার করছে সেই কারণে পঞ্চায়েত ভোটেও ওরা লুট ও সন্ত্রাস করে পঞ্চায়েত দখল করছে তিনি বলেন পঞ্চায়েত ভোটের পর পরই দেখা গেল ভূতের ভিতর ব্যালট পেপার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কোন জায়গায় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে যেসব কাউন্টিং এর যত ভোট তার বেশি ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার পাওয়া যাচ্ছে শুধু তাই নয় মানুষ জাল ফেলে পুকুর থেকে মাছ উঠাতে গিয়ে এই গত দুদিন আগে পুকুর থেকে ব্যালট বক্স উদ্ধার করল। এই সমস্ত পরিকল্পনা শাসকদলের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে ছিল পুলিশ প্রশাসন ভিডিও এবং এসডিও তিনি বলেন মহামান্য হাইকোটে এই কারণে ভিডিও এবং এস ডি ও কে সাসপেন্ড হতে হয়।
তিনি বলেন গোটা দেশে যে লুট চলছে, রাজ্যে যে লুঠ চলছে তা এক সূত্রে বাঁধা। মোহাম্মদ সেলিম বলেন এই জন্য আমরা গোটা আগস্ট মাস মানুষের কাছে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাদের কাছে যাব এবং মানুষ যে পঞ্চায়েত তৈরি করতে চাইছে লুটেরা দের হটিয়ে বিকল্প পঞ্চায়েতের ভাবনা নিয়ে মানুষের কাছে যাব বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন আমাদের প্রার্থীরা যেখানে জয়ী হয়েছে এখনো সেখানে হামলা চলছে ভয় দেখানো হচ্ছে আমাদের এবং কংগ্রেসের প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে দলে নিয়ে হাতে পতাকা তুলে নানান রকম গল্প শুরু করেছে সন্ত্রাস কারী শাসক দল।
মোহাম্মদ সেলিম বলেন এই টাকা লুটের জন্য এরকম হয়। মোঃ সেলিম বলেন গোটা দেশে যে ব্যবস্থা চলছে তাতে বেকারি বাড়ছে দারিদ্র বাড়ছে আর অন্যদিকে ওদের মুনাফা বাড়ছে। এই মুনাফা বাড়াবার চক্রে প্রশাসনের একটা অংশ , পুলিশ প্রশাসনের বড় একটা অংশ, এবং শাসক দল কেন্দ্র এবং রাজ্য তারা সবাই এক লাইনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে লুটতরাজ করতে।