অবতক খবর: মালদার পাকুয়াহাট বাজার এলাকায় দুই মহিলাকে চোর সন্দেহে কার্যত বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনার ১৫ দিন পর নির্যাতিতাদের বাড়িতে গেলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশনের এই পরিদর্শনকে ঘিরে গুরুতর অভিযোগ আনল তৃণমূল।
তৃণমূলের অভিযোগ, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ বামেদের। তৃণমূল ও বাম নেতাদের দাবি মণিপুরের ঘটনাকে ঢাকতে পাকুয়াহাটকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।
মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর বক্তব্য, ‘নির্যাতিতা দুই মহিলা বিজেপির সমর্থক। পাকুয়াহাটে যেসব মহিলা এই দুই মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করলেন, যাঁরা এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করলেন তাঁরাও বিজেপির কর্মী। বিজেপি কর্মীকে নগ্ন করে মারধর করলেন বিজেপি কর্মীরাই? আর এই ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে আবার বিজেপিই।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ ও মণিপুরের ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন যাননা। কারণ সেগুলি বিজেপি শাসিত রাজ্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আসতে তাঁরা দেরি করেন না। নির্যাতিতা দুই মহিলার পাশে আমরা সবসময় আছি। তবে নির্যাতিতা দুই মহিলাকে নিয়ে বিজেপির মতো নোংরা রাজনীতি করি না।’
একই বক্তব্য সিপিএমের জেলা নেতা শ্যামল বসাকের। তিনি জানান, পাকুয়াহাটকাণ্ডে রাজনীতি করছে বিজেপি। শুধুমাত্র মণিপুরকাণ্ড ঢাকতে মালদার ঘটনাকে জনসম্মুখে আনতে নোংরা রাজনীতি করছে। যদিও এবিষয়ে এখনও বিজেপি নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ পাকুয়াহাটকাণ্ডে নির্যাতিতা দুই মহিলার মানিকচকের মথুরাপুরের বাড়িতে আসেন রেখা শর্মা। তাঁর সঙ্গে আসেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির মহিলা সভা নেত্রী সুতপা চক্রবর্তী সহ জেলার একঝাঁক বিজেপি নেতৃত্ব। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জোর সওয়াল করতে দেখা যায় বিজেপি নেতৃত্বকে। বিশেষত ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে পুলিশের সঙ্গেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সোমদীপ সরকার। তিনি দাবি করেন, নির্যাতিতার বাড়িতে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের কর্মকান্ড দেখে মনে হয়েছে সেখানে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন আসেননি, জাতীয় পর্যায়ের বিজেপির কোনও মুখপাত্র এসেছেন।