মারণাস্ত্রেরও বোধ আছে
তমাল সাহা
আমার চেতনা জাগরণের সময়ে কবি বেঞ্জামিন মোলায়েজের ফাঁসি হয়েছে তখন থেকেই আমি ফাঁসির দড়ি কিভাবে তৈরি হয়, কারা বানায়, দড়িতে মোম ঘষা হয় কেন — বিষয়গুলি নিয়ে জল্লাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম
আমার বোধ জাগরণের সময়ে আমি কবি দ্রোণাচার্য তিমির মুরারি আশুতোষ সরোজ দত্তকে নিহত হতে দেখেছি
লোরকাকে নিহত হতে দেখেছি ফায়ারিং স্কোয়াডের জল্লাদদের হাতে এবং প্রতিটি গুলির শব্দ আমি কান পেতে শুনেছি
কিন্তু পৃথিবী থেকে কবিদের শিকড়কে উপড়ে ফেলা যায়নি
এইসব নিহত কবিদের গড়ানো রক্ত যত মাটির গভীরে প্রবেশ করেছে তত কবিদের সংখ্যা বেড়েছে এবং তারা গুলিবিদ্ধ হবার প্রস্তুতি নিয়েছে
যারা বুলেট বানায় এবং কার্তুজ বিশারদ তারা আমাকে জানিয়েছে
শাসকের দালাল কবিদের মেরে কার্তুজ বা বুলেট নিজেদের হাত নোংরা করতে চায়না। এতে মারণাস্ত্রের মর্যাদা কলুষিত হয়!
তারা শেষ কথা বলেছে,
বুলেট ডিনামাইট মলোটভ ককটেল পেট্রোল বোমা আরডিএক্স এমনকি পরমাণু বোমা তখনই কার্যকরী যখন তুমি দেখবে তারা সশব্দে বিস্ফোরণ ঘটায়– মানে শব্দই মূল
কবিরা সেই শব্দই প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন রূপে নির্মাণ করে
কবিদের মস্তিষ্কই সব শব্দ সৃজনের আধার মানে কারখানা