অবতক খবর, ১০ আগস্টঃ ব্যারাকপুর অঞ্চলে পাঁচটি পঞ্চায়েত। আগামীকাল এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। সূত্রে জানা যাচ্ছে এই পঞ্চায়েতগুলিতে কারা পঞ্চায়েত প্রধান,উপপ্রধান হবেন। সূত্রের খবর, কাঁপা-চাকলা পঞ্চায়েত অঞ্চলে পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে উঠে আসছে রবীন্দ্রনাথ নিয়োগী এবং উপ প্রধান হিসেবে নাম উঠে আসছে রহমত শাহের। অন্যদিকে পলাশী-মাঝিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে তপন পান এবং উপ প্রধান হিসেবে মিনু হেমব্রমের নাম উঠে আসছে।
জেঠিয়া পঞ্চায়েতে রয়েছে তিনজনের নাম। এই তিনজনের মধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানের নাম বাছাই হবে বলে জানা গেছে। নামগুলো যথাক্রমে অশোক দাস(কালা), উজ্জ্বল পাইন এবং উর্মিলা মন্ডল। শিবদাসপুর পঞ্চায়েতে প্রধান হিসেবে নাম উঠে আসছে অলোকা দাস এবং উপপ্রধান হিসেবে নাম উঠে আসছে সেরিনা বেগমের।
মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান হিসেবে উঠে আসছে প্রিয়াঙ্কা মালাকার এবং উপ প্রধান হিসেবে উঠে আসছে অশোক হালদারের নাম।
আরো উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অনেক পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেখানেও দেখা গেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে কাঠ মানি পোস্টারও পড়ে গিয়েছিল। আগামীকাল বোর্ড গঠন। রবি নিয়োগীর বিরুদ্ধেও পোস্টার পড়েছিল। এবার এই বোর্ড গঠন নিয়ে মানুষের কি প্রতিক্রিয়া কি বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে তা আগামী দিনেই বোঝা যাবে। কারণ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে শের রবি নিয়োগীর নাম বিবেচিত হচ্ছে। এখন দেখা যাক যার নামে কাটমানির অভিযোগ তাকেই জনগণ চাইছে কিনা বা জার্মানি কাঠ মানির অভিযোগ তাকেই পার্টি পঞ্চায়েত প্রধান বানাচ্ছে কিনা,তা আগামীকালই বোঝা যাবে যে, এই দলটা কোন দিকে যাচ্ছে।
কারণ টিকিট বন্টনের আগেও দলেরই নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছিলেন। সে সময় উপায় কি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আগামী দিনে দল কি পদক্ষেপ নেবে,তা আগামীদিনেই বোঝা যাবে।