আমি কিছুতেই ভালো নেই। তোমরা কেমন আছো? সময় কাল দেখি, না লিখে পারিনা তাই লিখে যাই..
হাতের কাছে দুটি শব্দ
তমাল সাহা
এখন হাতের কাছে দুটি শব্দ– যাদবপুর ও খড়্গপুর। প্রথম শব্দটি শুনলেই বাঁশিহাতে শ্রীকৃষ্ণের শ্যাম তনুটি ভেসে ওঠে আমার চোখের তারায়।
খড়্গপুর শব্দটি শুনলে সচল একটি ছবি দেখতে পাই নগ্নিকা মুণ্ডমালিনী কালিকার কৃষ্ণকায় মূর্তি।
এরপর আমি ধর্মের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি।
যাদবপুরের হিন্দুধর্ম এবং খড়্গপুরের মুসলিম ধর্ম নিয়ে বিশ্লেষণে মেতে উঠি।
রহস্য করে লাভ নেই, উদাহরণস্বরূপ ফয়জান ও স্বপ্নদীপকে ধরা যাক।
দেখি দুটি ধর্মেরই শেষ পর্যন্ত রক্ত ঝরেছিল…
এরপর:আমি জীববিজ্ঞানী হয়ে পড়ি,
গবেষণায় নেমে পড়ি।
দুই জায়গা থেকে দুটি রক্তের নমুনা সংগ্রহ করি। রক্তের শ্রেণীবিন্যাসে দেখি, দুটি রক্তের গ্রুপ আলাদা হলেও দুটি রক্তই মানুষকে দেওয়া যায়।
রক্তই একমাত্র জৈবিক স্রোত যা ধর্ম জাতপাত বর্ণকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়ে
দ্রুত হৃৎপিণ্ড ঢুকে পড়ে এবং অম্লজান প্রবাহ সচল রাখে।
তারপর আমি ভাষাবিদ হয়ে পড়ি।
ফয়জান ও স্বপ্নদীপ শব্দ দুটির উৎসগত পার্থক্য থাকলেও এ দুটি শব্দের মধ্যে অর্থগতভাবে মেধা এবং আলোর ব্যঞ্জনা খুঁজে পাই।
এরপর ঘাতক ও খুনি শব্দ দুটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
শব্দ দুটির উৎস এবং ব্যুৎপত্তি আলাদা হলেও দুটি শব্দের কর্ম-সক্রিয়তা একই দেখে আমি আঁতকে উঠি!
ভারততীর্থ ক্রমাগত লোহিত সাগরের দিকে ধেয়ে চলে…