অবতক খবর,২৯ আগস্টঃ শরিকি বিবাদের জের,সালিশি সভা ডেকে কৃষকের চাষ বন্ধের নিদান তৃণমূল নেতাদের।
আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই কৃষক তবে চাষের ক্ষতি হলেও তৃণমূল নেতাদের কাছে মাথা নোয়াবেন না বলেই পন করেছেন ওই কৃষক।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে।
তারকেশ্বরের বালিগড়ি দুই নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার মনোহর পুর গ্রামের কৃষক শেখ সিরাজ উদ্দিনের বিঘা ছয়েক জমি আছে।ধানের মরশুমে সব জমিতেই চাষ করেছেন ধান।
সিরাজ উদ্দিনের অভিযোগ বছর পাঁচেক আগে তার নিজের ভাইয়ের সাথে সম্পত্তি ভাগ নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয় এবং সেই বিবাদে তার বাম হাত কেটেছিল তার নিজের ভাই এই নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং
এখনো মামলা চলছে আদালতে।
দিন চারেক আগে তৃণমূল পার্টি অফিসে সালিশি সভা বসিয়ে মামলা তুলে দিতে চাপ দেওয়া হয় শেখ সিরাজ উদ্দিন কে।
মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করলে তার চাষ বন্ধের নিদান দেন স্থানীয় তৃণমুল নেতা শেখ সিদ্দিকী ও শেখ শহীদ এমনকি গ্রামের মজুর দেরও বলে দেওয়া হয় ওই কৃষকের জমিতে কাজ করলে শাস্তি পেতে হবে।
চারা রোপনের পর ধান জমিতে জল দেওয়া থেকে জমি আগাছা পরিষ্কার,ঔষধ,সার দেওয়া সবই মজুর দিয়ে করান ওই চাষী।গত শনিবার থেকে বন্ধ হয়েছে চাষের সমস্ত কাজ।
চাষ বন্ধের নিদান দেওয়ায় অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।পাশাপাশি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই চাষী।
যদিও দুই তৃণমূল নেতা শেখ শহীদ ও শেখ সিদ্দিকীর সাফাই ওই চাষী ও চাষীর পরিবার নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে।
তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য দেবীপ্রসাদ রক্ষিত অভিযুক্ত তৃণমুল নেতাদেরই বাঁচাতে কৃষকের অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
এই ঘটনা কে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুশান্ত বেরা বলেন গোটা রাজ্যে জুড়ে সাশক দল এই ধরণের অরাজকতা চালাচ্ছে।এটা নিন্দনীয় ঘটনা।