অবতক খবর,৮ অক্টোবর ২০২৩ঃ রবিবার,কল্যাণী ঋত্বিক সদন সেমিনার হলে সাড়ম্বরে প্রকাশিত হল কুশল মৈত্র সম্পাদিত ‘মৈত্রীদূত’ পত্রিকার শারদ সংখ্যা ১৪৩০। এদিন ‘মৈত্রীদূত’ পত্রিকার স্রষ্টা তথা প্রাণপুরুষ কবি-গল্পকার সুখেন্দু বিকাশ মৈত্র মহাশয়কে স্মরণ ও শ্রদ্ধা রেখে এবারের ‘মৈত্রীদূত’ মুদ্রিত ২১তম শারদ সংখ্যাটি। মঞ্চে একযোগে পত্রিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন নজরুল গবেষক বাঁধন সেনগুপ্ত, কবি-সাহিত্যিক সৈয়দ কওসর জামাল, ‘মৈত্রীদূত’ সভাপতি জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, কবি রামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কথাশিল্পী আনসারউদ্দিন, কবি-সাহিত্যিক রামকিশোর ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক দেবনারায়ণ মোদক, গল্পকার সুকুমার রুজ, ‘মৈত্রীদূত’-এর বর্তমান সহ-সভাপতি প্রবীর সান্যাল ও প্রকাশক রণজয় মালাকার প্রমুখ। ১৯০ জন কবি-সাহিত্যিকের কলমে সেজে উঠেছে এবারের শারদীয় সংখ্যা। রয়েছে কবি মৃদুল দাশগুপ্তর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার। পত্রিকায় লিখেছেন— জয় গোস্বামী, কিরণ শঙ্কর মৈত্র, রমেন আচার্য, পবিত্র সরকার, কালীকৃষ্ণ গুহ, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুবোধ সরকার, শ্রীজাত, নলিনী বেরা, বীথি চট্টোপাধ্যায়, গৌরশংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্দাক্রান্তা সেন, তৈমুর খান, বিপ্লব মাজী, যশোধারা রায়চৌধুরী, সৈয়দ খালেদ নৌমান, অরণি বসু, সৌমিত বসু, অজিতেশ নাগ, সুখেন্দু মজুমদার, রতনতনু ঘাটী, সৈয়দ হাসমত জালাল, দুর্গাদাস মিদ্যা, তৃষ্ণা বসাক, তমাল সাহা, অংশুমান চক্রবর্তী, নিত্যরঞ্জন দেবনাথ, দ্বিজেন আচার্য, প্রগতি মাইতি, গোলাম রসুল, চন্দন নাথ, ফটিক চৌধুরী, তাজিমুর রহমান, মুরারি সিংহ, কাজল মহান্ত, কিঙ্কি চট্টোপাধ্যায় সহ আরও গুণিজনের কলমে কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, গল্প, অণুগল্প, রম্য রচনা, ভ্রমণ কাহিনি, নাটক, গ্রন্থ সমালোচনা ও চিঠিপত্রে সমৃদ্ধ এবারের শারদ সংখ্যাটি সুধীজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এদিন প্রায় শতাধিক মানুষের সমাগম হয়েছিল। এদিন পত্রিকা সম্পাদক শ্রী কুশল মৈত্র বলেন- “যাঁর হাত ধরে ‘মৈত্রীদূত’ -এর দায়িত্বভার নিয়েছিলাম তিনি সুখেন্দু বিকাশ মৈত্র, আমার বাবা, তাঁর দেখানো পথেই এগোচ্ছি। তাঁর এই পত্রিকা করা শুধুমাত্র তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের মধ্যে।” ‘মৈত্রীদূত’ শারদীয় সংখ্যা প্রকাশের পাশাপাশি কুশল মৈত্র-র ‘‘আমার ঈশ্বর’’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ পায়। সত্তর দশকের দুই কবি প্লাবন ভৌমিক ও কবি চিরপ্রশান্ত বাগচী বইটি সম্বন্ধে আলোচনা করেন। কবি-প্রচ্ছদ শিল্পী হিসাবে এদিন দেবার্ঘ সেনকে বিশেষভাবে সংবর্ধিত করা হয়।
এদিন কবি-গল্পকার সুখেন্দু বিকাশ মৈত্র ‘স্মৃতি স্মারক’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন কবি-সাহিত্যিকগণ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দেবাশিস রায়। কল্যাণীর বুকে এমন একটি সাহিত্য পত্রিকার অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করে মৈত্রীদূতের জনপ্রিয়তা।