দুর্গার আয়োজনে মেতে গেছে মানুষ।
শুরু হলো দুর্গা পর্বঃ আমার দুর্গা’
এগারোভূজা
তমাল সাহা
মায়ের চরিত্র বোঝা বড় দায়।
যদিও লেখা আছে,
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপিগরীয়সী
বইয়ের পাতায়।
মা মানে উমা গিরিবালা, দুর্গার কথা বলি।
তার এত হাজারো নাম কেন?
চরিত্রে নিশ্চিত লুকিয়ে চোরাবালি।
দুষ্কৃতীর নামের পাশে দেখি ইংরেজীতে এলিয়াস,বাংলায় ওরফে।
মায়ের এত নাম কেন, দেয়নি এখনো কৈফিয়ত মা নিজের তরফে।
মায়ের যত নাম,
পেছনে লুকিয়ে নাকি কোনো না কোনো কারণ!
সর্বজয়া, অন্নপূর্ণা,অন্নদা, দুর্গা
আমি কখনও করিনা উচ্চারণ।
এসব লোকদেখানো নাম নিয়ে
মা ঘোরাফেরা করে,সর্বত্র বিরাজমান।
আচ্ছন্ন মানুষ পুজো করে চলে
দিনের পর দিন, আবহমান।
একান্ন জয়ঢাক বাজে,বাজে কাঁসি
সন্ধিপুজো চলে,চলে অঞ্জলি,সেকি মন্ত্র!
পেছনে শিল্পায়নের গল্প—
শুনশান বন্ধকারখানা,নীরব কান্না
নিঃশব্দ মেশিনপত্র-যন্ত্র।
ঋতুচক্রে বেলা যায়, পরিবর্তনের হাওয়ায়—
মা কি রাজনীতি করে? ঘুষ খায়?
অথবা রাজনেতা মাকে বানায় পণ্য!
এবার দেখি মা এগারোভূজা,
একহাতে ধরা আছে, ভাবতে পারো,
কত কত সত্তর হাজার টাকার অন্ন!
পুরোহিতও ধূর্ত অতি,
মন্ত্রোচ্চারণে দ্রুত তার গতি—
যুক্ত করে দেয়
ইয়া দেবি!ঘুষখাদিকারূপেণ সংস্হিতা…
এবার মাগো!জয় হোক তোমার,
তুমি সত্যই নবরূপে মর্ত্যভূমে আবির্ভূতা!