অবতক খবর,২৬ অক্টোবর: জেলবন্দি আসামির এবার দেহ বদলের অভিযোগ। পুজোর সময় ময়নাতদন্তের জন্য বাবলু পোল্লের দেহ sskm হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

সরকারি হাসপাতালের মর্গ থেকে কার্যত উধাও হয়ে গেল বিচারাধীন বন্দির দেহ। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে এসএসকেএম-এর বিরুদ্ধে। দুর্গা পুজো চলাকালীনই এই অভিযোগ সামনে এসেছে। মৃতের পরিবারের দাবি, সপ্তমীর দিন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। নবমীর দিন দেহ খুঁজতে হাসপাতালে পৌঁছয় পরিবার। মর্গ থেকে বের করে একাধিক ব্যক্তির দেহ দেখানো হয় তাঁদের। কিন্তু কোনওটাই ওই বিচারাধীন বন্দির নয় বলে দাবি পরিবারের। ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে হেস্টিংস থানার পুলিশ। শহরের অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতালে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মৃতের নাম বাবলু পোল্লে। খুনের অভিযোগে ১৫ বছর ধরে হাওড়া সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছিল আমতার বাবলুকে। জেলে থাকাকালীন নানা রোগে আক্রান্ত হন বাবলু। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতা বাড়তে সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বাবলুর পরিবারকে থানার তরফ থেকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়। নবমীর দিন হাসপাতালে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা।

মর্গ থেকে দেহ বের করে দেখানো হলে, পরিবার জানায় সেটি বাবলুর দেহ নয়। এরপর আরও একাধিক দেহ দেখানো হলেও পরিবারে জানায় একটিও বাবলুর দেহ নয়। এরপরই মামলা রুজু করে পুলিশ।

ভবানীপুর থানা সূত্রের খবর জানিয়েছেন এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছেন, বাবলুর মৃতদেহ অন্য কোনো পরিবার নিয়ে চলে গেছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, জেলে পিটিয়ে মেরে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে তার।