অবতক খবর,৬ জানুয়ারি: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানের মধ্যে ডাম্পার, ধূলিসাৎ বেশ কয়েকটি দোকান। রাতভর নম্বর বিহীন ডাম্পারের দাপাদাপি, ভোর রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানের মধ্যে ঢুকে গেল ডাম্পার, ঘটনায় পানের ঘন্টি সহ ৫-৬ টি দোকান ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। স্থানীয় জনতা গাড়িটিকে আটকে বিক্ষোভ দেখায়। অসহায় দোকানের মালিকেরা দারস্থ হয় পুলিশ প্রশাসনের। পুলিশ এসে ঘাতক ডাম্পারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শনিবার ভোর চারটা নাগাদ হঠাৎ প্রচন্ড শব্দে কেঁপে ওঠে চোপড়া থানার কালাগজ মাছ বাজার এলাকা। মুহূর্তের মধ্যেই আশেপাশের লোকজন বাইরে বেরিয়ে দেখে একটি নম্বর প্লেট হীন ডাম্পার বেশ কয়েকটি দোকানকে ভেঙে পানের ঘন্টি এবং সাইকেলের দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। লোকজন জমায়েত হওয়ার আগেই গাড়ির ড্রাইভার পালিয়ে যায়। ঘটনায় ৫-৬ টি দোকান ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। স্থানীয় জনগণ গাড়ি থেকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। দুর্ঘটনার কথা শোনা মাত্রই চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্ঘটনা গ্রস্থ দোকানের মালিকেরা ক্ষতিপূরণের দাবী জানায়। পুলিশ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
পুলিশ ঘাতক ডাম্পারকে আটক করে চোপড়া থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সন্ধ্যার পর থেকেই কালাগজ, হাপ্তিয়াগছ রাজ্য সড়কে শুরু হয়, নাম্বার প্লেট হীন ডাম্পার এবং লরির দাপাদাপি। রাত বাড়তেই তা আরও বাড়তে থাকে। এর আগেও কালাগজ এলাকায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও কমেনি গাড়ি চলাচলের অত্যাচার। আমাদের দাবি অবিলম্বে দুর্ঘটনা গ্রস্থ দোকান মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে এবং রাতের অন্ধকারে চলা অবৈধ ডাম্পার এবং লরিগুলোকে বন্ধ করা। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।