অবতক খবর,১৫ ফেব্রুয়ারি: পশ্চিমে ভাগীরথী বয়ে যায়। আমরা এখন সুতানুটি নই, বাস করি কলকাতায়। পাশে জোড়াসাঁকো আছে, রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় এখনও মাঝেমধ্যে ‘ঘরে-বাইরে’ হাতে নিয়ে এসে দাঁড়ায়। উত্তরে গিরিশ ঘোষ নটী বিনোদিনীকে নিয়ে মঞ্চে নামে লোকশিক্ষের নাটক দেখায়। রামকৃষ্ণও তার নাটক দেখতে আসে নাট্য পাড়ায়। দূরে রাজা রামমোহন স্ট্রীট, রামমোহন কলেজের বারান্দায় রামমোহন সতীদাহ রদ নিয়ে আলোচনা করে। এতসব ইতিহাস লেখা আছে আমাদের কলকাতার সুতানুটির ঘরে ঘরে।
বিদ্যাসাগরও বিধবা ও বাল্য বিবাহ প্রচলন প্রচার আন্দোলন নিয়ে নেমে পড়ে রাস্তায়, বিরোধীদের হাতে প্রচন্ড মার খায়। বিপ্লবী বিপিন বিহারী গাঙ্গুলিও রিভলভার নিয়ে নেমে পড়ে বউবাজার সংলগ্ন এলাকায়। এসবই নৈরাজ্য দূরীকরণের দীর্ঘ সংগ্রামের প্রচেষ্টায়।
এখন হুগলি নদীর তীরে মহামান্য হাইকোর্টকে সামনে রেখে দূরে ক্ষুদিরাম, রাসবিহারী বোস দাঁড়িয়ে বিধানসভা দেখে। কবেই তো এই রাজ্য ধর্ষণ উপত্যকা হয়ে গেছে। অসংখ্য ধর্ষিতা নারী খুঁজে পাওয়া গেছে পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি,কাটোয়া, মধ্যমগ্রাম, খরজুনা, শিলিগুড়ি আরও অসংখ্য জানা-অজানা গাঁয়ে। সাংসদও পাওয়া গেছে কৃষ্ণনগরে, ধর্ষক ঢুকিয়ে দেবে বাড়ি বাড়ি, বলেছে চরম উল্লাসে। বঙ্গভূমি ভরে যাবে নারীদের লাশে। এখন ধর্ষিতাদের সঙ্গে ধর্ষকিণীও খুঁজে পাওয়া যায়। ধর্ষকিণী মদদদাতা দেখতে পাই কলকাতার নাগরিক চত্বরের আইনসভায়।
এখন কলকাতার বাতাস বড় ভয় পায়।ধর্ষক ও ধর্ষকিণী হাত ধরাধরি করে একই সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। অসীমা পাত্র হলেও পাত্রটি কেমন কতদূর তার পরিসীমা আমরা কি জানি, কি সুপরামর্শ দেবেন তিনি নার্গিস বেগমকে, নাকি শয়তানি?
নার্গিস হলেও কি তার সুগন্ধ থাকে? বেগম সাহেবা তিনি শব্দ দুর্গন্ধ নিয়ে বেরোয় তার মুখ গহ্বর থেকে।
মহিলারা যে ধর্ষকিণী হতে পারে বা অন্য মহিলাকে ধর্ষণ করাতে পারে তা জেনে গেল রূপসী বাংলার জনগণ।
কে কাকে দিয়ে কিভাবে ধর্ষণ করাতে চান, বঙ্গদেশের আইন সভা শনিবার দুপুর লিখল ঐতিহাসিক উপাখ্যান।
প্রতিবাদহীন বাকি নারীরা তখনও নিশ্চুপ আইনসভায়–এ এক আশ্চর্য বিধান!
সুসংবাদ এল পরবর্তীতে— নার্গিস বেগম সাহেবা হাতজোড় করে জাহানারা খানের কাছে ক্ষমা চান।