প্রকৃতির চেতনায় বিমুগ্ধ ছিলেন কবি। হায় মৃত্যু বিষাদ তোমার কবিতায় নাকি!
জীবন-ই আনন্দ, জীবন ও আনন্দ জীবনানন্দ।
তুমি তো নিশ্চিত ছিলে দূরদ্রষ্টা।
তুমি কাব্যগ্রন্থের নাম রেখেছিলে ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা!’ কী কারণে কারা নাম পাল্টে করেছিল ‘রূপসী বাংলা’ কে জানে!
আমার রূপসী বাংলা
তমাল সাহা
এক) সেলাম
সূর্য অপমানিত
মুখ ঢেকে রইলো অন্ধকারের ঘোরে
এক দুষ্কৃতীর মুখ দেখি আমরা
সূর্য ওঠার আগে কাকভোরে
সামনে মস্তান মেজাজি দাপটে পদ বিক্ষেপ করে
পিছনে পুলিশ হাঁটে ম্যাও ম্যাও করে!
এ লিখিয়ে চিরকালই ভীতু কাপুরুষ
শক্তের গোলাম
হলো না আজ প্রভাতী সূর্য প্রণাম
হে শাহজাহান! তুমি পৃথিবীর রাজা
তোমাকে সেলাম!
দুই) উর্দি ও লুঙ্গি
সামনে বেয়াদপ সম্রাট শাহজাহান
পিছনে কাপুরুষ প্রতারক পুলিশ।
পুলিশের মা বউ বোনেরা ছবিটা দেখে— বলে,খুলে ফেল্ তুই উর্দিটা লুঙ্গিটা পরিস!
৩) বাঙালির বাচ্চা
সহিষ্ণুতা বাঙালির বড় অবদান
হেঁটে যায় সাদা কুর্তায় সম্রাট শাহজাহান
প্রশ্ন ওঠে কে বড়
শাজু, প্রশাসন অথবা সংবিধান ?
সন্দেশখালিতে জননী প্রহরণী উত্তপ্ত দিন
শাসকীয় মস্তান পঞ্চান্ন দিবস অন্তরীণ!
শাজুর পদক্ষেপ বীর বিক্রমে
কু*ত্তার বাচ্চা পুলিশ পিছনে ঘামে
রাষ্ট্র-মস্তান এক হয়ে যায় দরদামে।
আমরা বাঙালির বাচ্চা!
আমাদের আছে তেজ সূর্যসেন ক্ষুদিরাম
দীঘায় জগন্নাথ আসছেন অযোধ্যায় এসে গেছেন জয় শ্রীরাম!