আরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় যার পা টলমল করতো,আর কত কী দেখতো! কালো গাড়ির ভেতর কালো গাড়ি, নর্দমার পাশে পড়ে থাকা রক্তাক্ত লাশ, অসহায় মানুষের দুঃখের জলে ভেজা মুখ, সে আজকের দিনে চলে গিয়েছিল…

শক্তি
তমাল সাহা

শক্তি!
আজ তোকে খুব মনে পড়ে!
রাস্তার ধারে এখনো
রক্ত ঝরে এনকাউন্টারে।
কালো গাড়ির ভেতর কালো গাড়ি
নিয়ে যায় হানাবাড়ি।

তুই একটা লাইন লিখেছিলি–
বিপ্লব চেয়ে ওরা পেয়েছিল গুলি
দেথেছিলি পড়ে আছে ছিন্ন শির-খুলি।
আমিও এখন রাষ্ট্রীয় ত্রাসে সন্ত্রাসে
ভরসা পাই তুই আছিস পাশে।

শক্তি! কি সাহস তোর।
প্রশ্ন তুলিস, যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো?
কি করে বলিস
সন্তানের মুখ ধরে একটি চুমো খাবো।
সন্তান মে তোর যুদ্ধে রক্ত মাখে!
তবুও সন্তানের প্রতি এতো টান?

আবার বলিস একাকী যাবো না, অসময়ে
এতো দুঃসাহস পাস কোত্থেকে?
শক্তি,মদ খাস ক্ষতি নেই
আবার আয়,এখন আরো দুঃসময়
কবিতা লিখতে বোস…

বাইরে চলছে উদোম নাচ
কবি নেতা শাসক।
কোমর জড়িয়ে ধরে
সে কী নাচরে বাপ!

উদ্বাহু নাচ, নাচো
বাতাস হল্লা তুলে বলে
অবনী! বাড়ি আছো?