প্রণামী বাক্সে দিবেন
তমাল সাহা
ড্রপ আউট শব্দটি জানা ছিল
ড্রপ বক্স শোনার পরেই আমার মনে পড়ে যায় আমাদের বাবু ব্লকের হরিজন পট্টির রঘুডাকাতে কালী বাড়ির কথা এবং ওয়ার্কশপ রোডের হরিসভার কথা।
সেখানে একটা বাক্সে লেখা আছে–
প্রণামী বাক্স।
প্রণামী বাক্সে দিবেন।
বাক্সটি শেকল দিয়ে থামের সঙ্গে বাঁধা।
তাও বাক্সদুটি দুবার চুরি হয়ে যায়।
কী রে বাবা ! চোরোরা জয় শ্রীরাম ,জয় জগন্নাথকে ভয় পেলেও ভগবানের নামে টাকা চুরি করে নেয়!
আমার বাড়ি রাস্তার পাশেই। বাড়ির মূল দোরগোড়ায় একটি কালীমন্দির করেছি।
একটি বাক্স রেখে দিয়েছি, মোটা লাল কালিতে লিখে দিয়েছি,
প্রণামী বাক্সে দিবেন।
অমাবস্যা চলে গিয়েছে। বাক্স খুলে দেখি একটি পয়সাও বাক্সে পড়েনি।
ছেলে এসে বলে, কত হলো?
বলি, কোনো টাকা পয়সা কিছুই পড়েনি!
সে বলে,
তোমার তো গড়ায় গলদ।
তুমি তো আমার পিতা তোমাকে কী করে বলি তুমি এখনো একটা আস্ত বলদ!
আমি বলি কী হয়েছে?
ও বলে, প্রণামী বাক্স নয়, লিখতে হতো ড্রপবক্স
যেমন মা মাটি মানুষেরা লেখে?
ইলেক্টোরাল বন্ডকে তুমি যদি লেখো নির্বাচনী চাঁদা
তাহলে কী ভোটের মান সম্মান বাড়ে?