অবতক খবর,৯ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগের মামলা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর এবার সেই সূত্র ধরেই আদালতের কাছে এসে পৌঁছাল কিছু বেনামী চিঠি। এই চিঠির সূত্র ধরে সামনে এসেছে জিটিএ-র অন্তর্গত স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি। তৎক্ষণাৎ এ বিষয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

সূত্রের খবর, চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ওই নিয়োগ দুর্নীতি আদতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিনয় তামাং-এর মস্তিষ্ক প্রসূত। এমনকী এই দুর্নীতি সংগঠিত করার পেছনে একজন ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর বা ডিআই এবং তৃণমূল ছাত্রনেতার নামও উঠে আসছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়,উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতার হাত আছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে জিটিএ এলাকায় শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয়। দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সেই বছর মার্চ মাসে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।

জিটিএ অন্তর্ভুক্ত এলাকায় টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে অনেক আগেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।১৫ দিনের মধ্যে সিবিআই-কে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু।

জিটিএ-র অধীনে প্রাথমিক, আপার প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ছাড়াই ৭০০ জনের বেশি শিক্ষককে পাহাড়ে নিয়োগ করা হয়েছে।

দার্জিলিংয়ের স্কুল ও পুরসভার নিয়োগে সেই ‘রহস্যময়’ চিঠির কতটা সত্যতা রয়েছে তা অনুসন্ধান করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ কেনও অভিযোগ দায়ের করেনি? ৭০০ জনের নিয়োগ দুর্নীতিতে কতটা সত্যতা রয়েছে?”
এদিন সংশ্লিষ্ট মামলাটিতে এপ্রসঙ্গে বিধাননগর উত্তর থানার আইসি-র হলফনামামী তলব করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে যোগ্যতা ও নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে জিটিএ-কে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।