অবতক খবর ,অঙ্কিতা ঢালী , ১৫ই জুন : উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ মে হয়েছিল নিট। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ১৭ মে পরীক্ষার ফলপ্রকাশে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালত তেমন কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড়ের বেঞ্চ নোটিস দিয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করে। আগামী ৮ জুলাই মামলাটির শুনানি করা হয়েছিল ওই দিনই পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানানো সংক্রান্ত মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালত ।ইতি মধ্যে নিট প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতির মামলায় শিক্ষার অন্দর  মহলে উঠেছে ঝড় । , নিট পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রোজ কিছু না কিছু ।জানা যায় নিড প্রবেশিকা পরীক্ষায় ছাত্র ,ছাত্রীদের পরিমানের  থেকে অধিক নম্বর দেওয়া অভিযোগ উঠেছিল নিড পরীক্ষার কতৃপক্ষের ওপর ।এই নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলাও করা হয় বলে খবর ।যদিওবা এই অভিযোগকে খারিচ করেছিলেন নিটপরীক্ষার কতৃপক্ষ ।

তবে এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ” বিরোধীদেরও নিশানা করে তিনি বলেন পরী‌ক্ষা বাতিলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘নিট বাতিলের প্রয়োজনীয়তা কী? এর নেপথ্যে বিরোধীদের একটি স্বার্থ রয়েছে। গত বছরের নিটে যিনি প্রথম হয়েছিলেন, তিনি তামিলনাড়ুর পড়ুয়া। তামিলনাড়ুর এক গ্রামের বাসিন্দা। আসল অভিযোগ কী, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।’’

নিটের পরিচালনার প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলার সময় ধর্মেন্দ্র জানান, ভারতে ৪৭০০ কেন্দ্রে এবং ভারতের বাইরে ১৪টি কেন্দ্রে ১৩টি ভাষায় এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষা দেন ২৩ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি কেন্দ্র নিয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের অবশ্যই কঠিন শাস্তি হবে।’’ পাশাপাশি, পরীক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘কিছু অসঙ্গতি প্রকাশ্যে এসেছে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। সুপ্রিম কোর্টও একটি রায় দিয়েছে। এর পরে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয় বলে জানান তিনি ।”