অবতক খবর,খবর,১ জুলাই,নববারাকপুর : বিধান চন্দ্র রায়ের নাম মূলত দুটি কারনে সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এখনো এ জন্য তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমত ১৯৪৮ থেকে তিনি আমৃত্যু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (দ্বিতীয়) গুরুদায়িত্ব সফল ভাবে পালন করে নজির সৃষ্টি করেছেন।

এজন্য তাকে আধুনিক বাংলার রূপকার বলে অভিহিত করা হয়। তার পরিকল্পনাতেই দুর্গাপুর, কল্যাণী ও বিধাননগর উপনগরী গড়ে তোলা হয়েছে। অন্য যে পরিচয় টি তাঁকে প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে সেটি হল তার চিকিৎসক পরিচিত। ভারত সরকার তাঁর জন্মদিনকে জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বিধান চন্দ্র রায়কে ভারত সরকার ১৯৬১র প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারত রত্ন সন্মানে ভূষিত করে তাকে উপযুক্ত স্বীকৃতি দেয়। সোমবার সকালে যথাযথ মর্যাদা সহকারে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যু দিনে চিকিৎসক দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাল নববারাকপুর পুরসভা ।

এদিন সকালে পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডে মাসুন্দা বড়বটতলায় বিধান চন্দ্র রায়ের মর্মর মূর্তিতে মালা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় পুর প্রতিনিধি নির্মিকা বাগচী, পুরসভার হেডক্লার্ক সজল নন্দী মজুমদার, পুর আধিকারিক প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়, পুর কর্মী শম্ভু নাথ মন্ডল সহ ওয়ার্ডের বিশিষ্ট জনেরা।

এরপর পুরসভা পরিচালিত ডাঃ বি সি রায় জেনারেল হাসপাতাল ও মাতৃসদনের সামনে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের মর্মর মূর্তিতে মালা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস , স্থানীয় পুর প্রতিনিধি কৃষ্ণা বোস,বেবী চক্রবর্তী, পূজা গুপ্ত, শোভা রায়, নির্মিকা বাগচী, হাসপাতালের সুপার ডাঃ অলোক পাল, হাসপাতালের চেয়ারম্যান পুর প্রতিনিধি হৃষিকেশ রায়, ডাঃ বিধূ ভূষন গিরি, পুরসভার বড় বাবু সজল নন্দী মজুমদার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গন, স্বাস্থ্যকর্মী নার্স রা পুরকর্মী গন।

পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন কৃতি মানুষ কে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পেরে আমরা সবাই গৌরবান্বিত হলাম ।তার চিন্তা ভাবনা জীবন দর্শন কে সামনে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সকলকে। তিনি বাংলার নবরূপকার ছিলেন এই বাংলা কে নতুন ভাবে তৈরি করার জন্য। তার জীবন দর্শন হোক প্রত্যেকের চলার পথের অধ্যায়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ডাক্তার ছিলেন।মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।তার জন্ম মৃত্যু দিনের পাশাপাশি দিনটি চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে পুরসভার ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির ব্যবস্থাপনায় কস্তুরি ভবনে হল রক্তদান শিবির ।ভারতে দেশ স্বাধীন হলেও দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে তার সময়ে কাজ করে গেছেন। পুর প্রতিনিধি হৃষিকেশ রায় বলেন সারা রাজ্যে জুড়ে আজকের দিনটি পালিত হচ্ছে চিকিৎসক দিবস হিসেবে।

আমরা গর্বিত চিকিৎসক দিবসে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে। একদিকে চিকিৎসক অন্যদিকে প্রশাসকের পাশাপাশি মানব দরদী ছিলেন ।যেটা রাজনীতিতে বিরল নজির দৃষ্টান্ত। দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীর হিসেবে ও ১৫ জন রোগী কে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করতেন। সবথেকে বড় কথা তার সৃষ্টি চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতাল।উন্নয়নের দিকে তাকালে সব কিছুতেই তার নাম রয়েছে। দুর্গাপুর কল্যাণী বিধাননগর পুর নিগম প্রমুখ ।