অবতক খবর,মালদা, ২ জুলাই: জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এত বাড়ছে কেন! ৫০ টা অভিযোগের মধ্যে ৩০টা অভিযোগই জমি সংক্রান্ত। বিতর্কিত জমি থাকলেই দলের একাংশ জনপ্রতিনিধিরা ঝাঁপিয়ে পড়ছে। টাকার খেলা চলছে। এগুলি একেবারে বরদাস্ত করা হবে না । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি জমি উদ্ধার করুন।

জলা জমি ভরাট বন্ধ করুন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা কালেক্টরেট বিল্ডিং-এ প্রশাসনিক বৈঠকে রীতিমতো বিএলআরও’দের কড়া ভাষায় ধমক দিয়েছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ , অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক দেবাহুতী ইন্দ্র সহ মালদা জেলার ১৫ টি ব্লকের বিএলআরও এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদস্থ কর্তারা। বৈঠকের শুরুতেই রীতিমতো কড়া ভাষায় সুর চড়িয়েছেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ।

তাঁর অভিযোগ, শহর থেকে গ্রাম যেখানে সেখানে জলাশয় বুঝিয়ে ফেলা হচ্ছে। মালদা শহরের জলাশয় বুঝিয়ে একের পর এক বহুতল গড়ে উঠছে। গ্রামেও মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে। একাংশ পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা মানুষের সেবা ছেড়ে জমি ব্যবসায় নেমে পড়েছেন।

প্রতিদিনই ভুরি ভুরি অভিযোগ জেলা প্রশাসনের কাছে আসছে। তার মধ্যে সিংহভাগই রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিষয় । বিএলআরও’রা যেখানে রেকর্ড নামা থেকে শুরু করে পরচা এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করেন। এখন অনেক সময় দেখা যাচ্ছে অসহায় মানুষ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ ও নেতাদের কাছে ছুটছে। তাহলে আপনারা কিসের জন্য। এগুলো বরদাস্ত করা যাবে না।

মালদার সমস্ত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর নজরে রয়েছে। মালদা জাতীয় সড়কের ধার ধরে বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে, তা বন্ধ চেষ্টা করুন।

এই দিনের বৈঠকে মূলত ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে সরকারি জমির জবরদখল উদ্ধার, জলা জমি সংস্কার, রাজস্বের পরিমাণ বাড়ানো সহ একাধিক ইস্যু বিষয়ে প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতেই বিভিন্ন ব্লকের বিএলআরও’রা নিজেদের সংগৃহীত রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ সম্পর্কে বলতে শুরু করেন।

কোথায় কিভাবে জলাজমি সংস্কার এবং ভরাট বন্ধের অভিযান চালানো হচ্ছে, সেগুলোর খতিয়ানও তুলে ধরা হয়। কিন্তু এই কথা শোনার পরেই রীতিমতো চটে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।