অবতক খবর,৫ জুলাই: হত দরিদ্র পরিবারের সদস্য প্রবীণতম সদস্যা ১০১ বছরের রানু দাস,বাঁশের খুঁটি টালির চাল প্লাস্টিক ও চটে ঘেরা ঘর,বারবার আবেদন করেও মিলছে না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর।

এমনই দৃশ্য দেখা গেল হুগলির সুগন্ধা পঞ্চায়েতের কামদেবপুর ষষ্ঠী তলার বাসিন্দা বৃদ্ধা রানু দাসের পরিবারে,ওই বৃদ্ধার দায়িত্বে নাতি ও নাত বউ,বৃদ্ধা রানী দাস এই বয়সেও প্লাস্টিকের চামচের প্যাকিং করার কাজ করেন।

ওদের একটা ঘর দরকার একথা স্বীকার করলেন কামদেবপুর পূর্ব পঞ্চায়েত সদস্যা লিপিকা দাস।এর আগেও বেশ কয়েকবার কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য এসে বলেছেন তোমাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর বাতিল হয়ে গেছে।

কেন বাতিল হল তার কারণ কিন্তু তিনি বলতে পারেননি,পাশাপাশি বেশ কয়েকটা ঘর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তৈরি হয়েছে,তাদের বাড়ি পরিদর্শনে এসে সরকারি আধিকারিকরা বলেছেন যে এইখানে কোনো মানুষ থাকতে পারে না।

তবুও কোন এক অদৃশ্য কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পাননি তারা,এদিন ক্ষোভের সঙ্গে একথাই বললেন বৃদ্ধা রানু দাসের নাত বউ,খোলা আকাশের নিচে প্লাস্টিক ঘেরা ঘরে বাস করছেন বৃদ্ধা রানু দাস।

তার শেষ জীবনে আশা তিনি ও তার নাতি নাত বউরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পাকা ঘরে বাস করবেন,তার সেই স্বপ্ন কি সফল হবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন?