অবতক খবর,৮ জুলাই,নববারাকপুর :৩৪ হাজার টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ না করতে পারার জন্য মুক্তিপণ সাড়ে ৩ লাখ টাকা,এলাকায় তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা,আর তার সাথে চলে মারধর।

পুলিশ সেই এলাকায় গেলে পুলিশকেও আটকে রাখার অভিযোগ। অবশেষে পুলিশের উদ্যোগেই তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটে নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানা যায় নিউব্যারাকপুর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কোদালিয়া তালপুকুর এর বাসিন্দা পূর্ণেন্দু ঘোষ।

বিরাটির এক ব্যক্তির থেকে ৩৪ হাজার এবং ১৫ হাজার টাকা ধার হিসাবে নেয়,যদিও ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও ৩৪ হাজার টাকা দিতে না পারায় গত শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তিনজন বিরাটির নবনগরের বাসিন্দা।তারপরে বিরাটির নবনগরের মাঠের পাশে এক বাড়িতে আটকে রেখে চলে মারধর।

পরবর্তীতে পরিবারকে জানানো হয় সাড়ে তিন লাখ টাকা না দিলে পূর্ণেন্দু বাবু কে ছাড়া হবে না।পরিবার অবশেষে শনিবার মধ্য রাতে নিউব্যারাকপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমিত বৈদ্য এর দারস্থ হন।তারপরেই ওসি নিমতা থানার সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ বাহিনী পাঠায় বিরাটি নবনগরে আটক পূর্ণেন্দু বাবুকে উদ্বারে ,কিন্তু সেই পুলিশ ফোর্সকে আটকে রাখার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।

অভিযোগ অভিযুক্তরা ফোন করে দলবল ডাকাডাকি শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছিলো।এই খবর শোনার পর নিউব্যারাকপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এর নির্দেষে তিন অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ সাহা,দিলীপ চক্রবর্তী এবং তাপস চক্রবর্তী কে বিরাটী নবনগর থেকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত নিউব্যারাকপুর থানায় নিয়ে আসে।

শনিবার মধ্যরাতে চলে এই অপারেশন, পাশাপাশি পূর্ণেন্দু ঘোষ কেও উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় থানায়।রবিবার সকালে ধৃত তিন দুষ্কৃতীকে মেডিক্যাল করিয়ে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করা হয়।