কি করে হকার হঠাবে তুমি? হকার হটালে,রবীন্দ্রনাথও হটে যায়!

রবীন্দ্রনাথ ও ফেরিওয়ালা
তমাল সাহা

তুমি কি জানো রবীন্দ্রনাথও ফেরি করে ঘরে বাইরে দুয়ারে দুয়ারে।
স্বর্ণরথে চড়ে মাটির বুকে নেমে আসে,দুহাত পেতে ভিক্ষাবৃত্তি করে!

আজন্ম অমল ফেরিওয়ালা হতে চায়।
চিঠি বিলি করতে চায় বুঝি! ডাকঘর থেকে কোন চিঠি আসে, কে চিঠি লেখে,কিসের সেই চিঠি সে খুঁজে ফেরে।
সে তো দইয়েরও ফেরিওয়ালা হতে চায়। দই চাই! দই চাই ! এ কোন ফেরিওলার হাঁক। তাপের তারতম্যে দুধ ঘনীভূত হয়, জমে ওঠে দই।
তাপ ও ঘনীভূত হওয়ার মধ্যে লুকিয়ে আছে জীবনের কোন ধারাপাত!
এসব ফেরিওয়ালা জানে শুধু।
ফেরিওয়ালার জীবন তাই ঘরের জীবন থেকে অনেক তফাৎ।

কাকে তুমি ফেরিওয়ালা বলো?
সুধা মালিনী, ফেরিওয়ালা নাকি, তার হাতে পূজার ফুল কই?
মাথায় ঝুড়ি–চীনের পুতুল রেশমি চুড়ি। কার হাতে তুলে দিতে চায় ফেরিওয়ালা
এসব কিছুতেই লেখা আছে জীবনের বর্ণমালা।

নিঝুম দুপুরে শিল-পাটা কুটালা! শিল-পাটা কুটালা, দা-বঁটি শান! দা- বঁটি শান–
এইসব হাঁক হারিয়ে যায়।
এইসব স্মৃতি ধূসর বেলা এখন
কোথায়, কোন মণিকোঠায়?

সে কোন তিথিতে এসেছিল কে জানে? অতিথি হয়ে ঘুরে বেড়ায় চরাচর।
কোন মুক্তির ফেরিওয়ালা হয়ে সে আসে?
বিশাল আকাশ প্রশস্ত প্রান্তর বিস্তীর্ণ জলস্রোত ফেরিওয়ালাকে দেখে সুদূরে মেঘ উড়ে যায় রৌদ্র উজ্জ্বল হাসি হাসে।

কে ফেরিওয়ালা? রহমত কী ফেরিওয়ালা! তার ঝুলিতে আখরোট বাদাম কিসমিস।
দুনিয়ার সব মেয়েই মিনি হয়ে যায়, রহমত হয়ে যায় পিতা
হৃদয় জুড়ে পসরা সাজানো।তোরা অফুরান স্নেহ, নিরন্তর ভালোবাসা নিস।

ফেরিওয়ালাদের দুনিয়া থেকে হটানো যায় নাকি! কি করে করবে উচ্ছেদ?
ভালোবাসা রক্তাক্ত হতে পারে, নিহত হয় না কখনো
রৌদ্র শুধু আলো লেখে, অন্ধকারের ছেদ।