অবতক খবর,১৭ জুলাই,জ্যোতির্ময় মন্ডল পূর্ব বর্ধমান:একটানা গরম বৃষ্টির অভাবে মার খেয়েছে, আনাজ। বহু জমিতে শুকিয়েছে গাছ ছোট ছোট জলাশয় গুলিতে জলভাব দেখা দেওয়ায় পাট পচতেও সমস্যা পড়েছেন চাষিরা। এবার বৃষ্টির অভাবে জেলায় আমন ধানের চারা বোনার কাজও চলছে ধীরগতিতে।

যদিও কৃষি কর্তাদের দাবি আমন ধানের চারা পোতার কাজ করা যায় ১৫ ই আগস্ট পর্যন্ত। কয়েকদিন ভালো বৃষ্টি পেলেই কাজে গতি আসবে। রাজ্যের শস্যভান্ডার পূর্ব বর্ধমানের সবথেকে বেশি আমন ধানের চাষ সঙ্গে মন্তেশ্বর ব্লকেও চাষ হয়। মূলত বৃষ্টিনির্ভর এই চাষ ।

জুলাইয়ের বীজতলা থেকে ধানের চারা নিয়ে গিয়ে মূল জমিতে বসান চাষীরা। এই সময় প্রচুর জলের প্রয়োজন হয় কৃষি দপ্তরে হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ২৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টির প্রয়োজন রয়েছে ,সেখানে হয়েছে মাত্র ১৩ ৯.৩ মিলিমিটার। সেই কারণে গতি কমেছে এমন ধানের চারা পোতার কাজে। বাধ্য হয়ে বেশিরভাগ চাষী মাটির তলা থেকে জল তুলছেন। গত বছর জুলাই মাসের এই সময়ের থেকে এবার জমিতে চারা পোতার কাজ কম হয়েছে।

আকাশ মাঝেমধ্যেই কালো করে আসছে। তবে বৃষ্টির মিলছে ছিটেফোটা। চাষীদের দাবি মাটির বীজতলার চারা তৈরি হয়ে রয়েছে। শুধু কিছুটা ভারী বৃষ্টির প্রয়োজন । যাতে জমিতে জল জমে যায়।

মন্তেশ্বর ব্লকের ধান চাষী মদন গড়াই, নয়ন গড়াই,রা বলেন মাঝেমধ্যে যেটুকু বৃষ্টি মিলেছে তাতে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন ভারী বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছি। তাদের দাবি শুরু থেকে মাটির তলার জল চড়া দামে কিনে চাষ করলে চাষের খরচ বেড়ে যাবে। আরো বলেন ভালো বৃষ্টি নাই বলে ধান পোতার তেমন গা নেই ।

দ্রুত কিছুটা ভারী বৃষ্টি না পেলে চাষ পিছিয়ে যাবে বলে জানান তারা। মন্তেশ্বর ব্লক কৃষি আধিকারিক বলেন গতবছরের এই সময় যতখানি আমন ধানের চারা পোঁতা হয়েছিল, এবার তা থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

কৃষি আধিকারিক আরো বলেন ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত মূল জমিতে ধানের চারা পোতার কাজ হয়। তাই যেভাবে মেঘের সঞ্চার হচ্ছে আশা করা যায় ভারী বৃষ্টি হবে। বলে জানান তিনি।