অবতক খবর,২৩ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:-মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কো-অপারেটিভ সোসাইটির সদস্যারা তাদের সই জাল করে কো-অর্ডিনেটর সভানেত্রী সম্পাদিকার বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, বোর্ড মেম্বাররা সোসাইটির ঘরে মারলেন তালা।

সরকারি তরফে মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। বিভিন্ন বিদ্যালয় স্কুল ইউনিফর্মের বরাত থেকে শুরু করে ধান পাট কেনাবেচা এমনকি বর্তমানে বাজারদর মূল্যবৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যখাবার বিক্রি এমনকি সরকারি তরফেয় বিভিন্ন মেলার মাধ্যমে তাদের স্বনির্ভর করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চলছে।

আর এই লক্ষেই পাড়ায় পাড়ায় মহিলা গোষ্ঠী তাদের ওপরে ক্লাস্টার কমিটি গঠন, সোসাইটি লিমিটেডের মাধ্যমে সমবায় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে হাঁস মুরগি গবাদি পশু প্রাণী প্রতিপালন বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের প্রক্রিয়াকরণ এবং উৎপাদন এ ধরনের নানান পরিকল্পনা থাকলেও তা অংকুরেই বিনষ্ট হচ্ছে দায়িত্বে থাকা কিছু স্বার্থান্বেষী লোভী মহিলা পদাধিকারীদের জন্য, এমনই অভিযোগ নদীয়া শান্তিপুর ব্লকের বাবলা বহুমুখী কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের বেশিরভাগ সদস্যাদের। তারা জানাচ্ছেন শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রায় 400 গোষ্ঠী রয়েছে যাদের তত্ত্বাবধান করে থাকেন এই বহুমুখী কোঅপারেটিভ লিমিটেডের সদস্যরা। ১২ জন সদস্য থাকলেও সভানেত্রী মনিকা সাহা এবং কো-অর্ডিনেটর রুপা সরকার সম্পাদিকা রিনা রায় মূলত এই তিন পদাধিকারী নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি টাকা ভাগ করে নিচ্ছেন এমনকি প্রোগাশ্রী রায় দের মতন অনেকেরই সই রয়েছে টাকা তোলার ক্ষেত্রে অথচ তারা এ বিষয়ে বিন্দু বিসর্গ নিজেরাও জানেন না। অপরদিকে কল্পনা মন্ডল নামে মিটিং রেজুলেশন বইয়ে সই থাকলেও ওই পদবীর কোন সদস্যা প্রকৃতপক্ষেই নেই আছে কল্পনা বিশ্বাস নামে এক মহিলা সদস্যা কিন্তু তিনি টাকা পয়সা তোলা তো দূরে থাক দীর্ঘ প্রায় তিন মাস কোনো মিটিংয়ে ডাক পাননি।

তাই বাসন্তী সরকার সুচিতা বিশ্বাস বিনতা মন্ডলদের মতন বোর্ডের বাকি আটজন সদস্যার তাদের অভিযোগ স্কুল ড্রেসের ১২ লক্ষ টাকার হিসাব, খাদ্য ছায়া প্রকল্পের 5 লক্ষ 84 হাজার টাকার হিসাব, সরকারি আরএফ ফান্ড থেকে অনুদান হিসেবে আগত বছরে 5000 টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকার হিসাব মিলিয়ে আনুমানিক প্রায় এক কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। আর এই সমস্ত বিষয় জানিয়ে ডি আর ডি সি বিভাগে পিডি সার্কে জানানো হয় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে শান্তিপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক কেও। এমনকি গোষ্ঠীর মেয়েরা সেলাইয়ের কাজের বরাত না পেয়ে এজেন্সিকে দিয়ে কাজ করানো, 12 টি সেলাই মেশিন কেনার জায়গায় মাত্র দুটি সেলাই মেশিন কিনে ভুয়ো বিল তৈরি করা এ ধরনের না না বিষয়ে তারা পদাধিকারী ওই মহিলা সদস্যদের কাছে কৈফিয়ৎ জানতে চায় আজ থেকে ১৫ দিন আগেও। কিন্তু তারা কোনভাবেই সদুত্তর দেননি বাকি সদস্যরা ওই তিনজনকে কোনভাবেই মিটিংয়ে ডেকেও পাচ্ছেন না এমনই অভিযোগ তাদের । অন্যদিকে সরকারি তরফে যে সমস্ত জায়গায় অভিযোগ করা হয়েছে তারাও তদন্ত শুরু করেছে বলে আশ্বস্ত করা হলেও প্রায় একমাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরে প্রকৃতপক্ষে এখনো পর্যন্ত দোষীদের ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এমন কি প্রকাশ্যে আসেনি অধিকার থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য সদস্যদের সামনে হিসাবের খাতা। তাই স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে তারা আজ তাদের কার্যালয় তালা ঝুলিয়ে দিলেন। জানালেন তারা শান্তিপুর থানায়ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাদের সই জাল করার জন্য। তারা আক্ষেপের সুরে বলেন যেখানে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের স্বনির্ভরতার মাধ্যমে সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করছেন সেখানে এইরকম কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলাদের জন্যই আজ সকলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে বসেছে। বহু স্বপ্ন নিয়ে সংসারের সমস্ত কাজকর্ম বাদ রেখে বিভিন্ন ধরনের মিটিং ছোট ছোট উদ্যোগ সফল করতে ঘুরে বেড়াতে হয় বিভিন্ন অফিস থেকে উৎপাদন এবং বিপণনের ক্ষেত্রেও। কিন্তু আজ সে সমস্তই বিফলে যাওয়ার জোগাড়। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার মাধ্যমে আজকের এই প্রতিবাদী আন্দোলন। যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই তিন পদারিকারী রা জানান মাত্র কয়েকটা গোষ্ঠী এই ধরনের বিরুদ্ধাচরণ করছে তবে সমস্তটাই আইন মোতাবেক কাজ হয়েছে যেটা জানে ভিডিও থেকে শুরু করে ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ পদাধিকারীরা। যদি তদন্ত হয় তাতে পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা থাকবে।