অবতক খবর,২৪ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:- নদীয়ার শান্তিপুরের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্র অর্ক সমাদ্দার কে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেন থেকে মাত্র চার মাসের মাথায় ফিরতে হয়েছিলো। এরপর সে ভর্তি হয় বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের জেরে উত্তাল বাংলাদেশ থেকেও তাকে ফিরতে হয়েছে গত দুদিন আগে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তার সাক্ষাৎকারে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৯ ই আগস্ট সে ভর্তি হয়।

বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি ভারতীয় হিসেবে প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করেন যার মধ্যে ৫০ জন ছাত্র। ছাত্র এবং ছাত্রী আবাস কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাই পরিস্থিতি প্রতিকূলে যেতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যার ফলে তাদের খুব বেশি অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয়নি। কলেজের কিছু কিছু ছাত্র সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেও তারা কেউই আবাসিক ছিলনা।

ফরেন কান্ট্রি অর্থাৎ ভারতীয় কিংবা অন্যান্য দেশের দু’একজন ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও তারা এ ধরনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। তবে কারফিউ থাকার কারণে এবং নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য বেশ খানিকটা চিন্তিত ছিল তারা। তবে সে দেশের সরকার এবং ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ এবং বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ওই জেলা আগরতলার কাছাকাছি হওয়ায় জিওর কিছুটা নেটওয়ার্ক পাওয়ার কারণে নিয়মিত বাড়ির সাথে যোগাযোগ রাখতে পেরেছিলো তবে, শেষমেষ গত দুদিন আগে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে যার বাড়ি ফিরে যাওয়ার। সেইমতো পুলিশ এসকর্ট দিয়ে ভারতীয় দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় তারা কোন রকম সমস্যা ছাড়াই যে যার বাড়িতে পৌঁছেছে। তবে অর্ক জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে আবারো যেতে হবে।

প্রসঙ্গত অর্ক পড়াশোনা করছো রানাঘাট কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে, নিট পাশ করে ২০২১ সালে। তার বাবা কমল সমাদ্দার ইন্ডিয়ান পোস্টালে অন্য জেলায় কর্মরত। ছোট ভাই ক্লাস নাইনে পড়ে।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায় ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট কোয়ালিফাই করে অনেকেই সুযোগ পায় না সরকারি ভাবে এমবিবিএস পড়ার। তবে বেসরকারি কলেজগুলোতে যা খরচ তা মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে, বাধ্য হয়েই তখন ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির পরে বোঝা গিয়েছিল কি পরিমাণ ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা সেখানে পড়াশোনা করে কারণ রাশিয়া ইউক্রেন সহ কয়েকটি দেশে পড়াশোনার খরচ মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের মধ্যে থাকে । তবে অভিভাবকদের মত অনুযায়ী প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও কিছুটা কম কিন্তু ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তা যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ।