অবতক খবর,২৯ জুলাই,মলয় দে নদীয়া :-বিডিওর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যাবহার এবং শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে হকার উচ্চদের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির। সরকারি নির্দেশ কে প্রাধান্য দিয়েই কাজ হচ্ছে পাল্টা মন্তব্য বিডিওর।

নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের অন্তর্গত ফুলিয়া টাউনশিপ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাজ্য সড়কের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকান গুলি উচ্ছেদ প্রসঙ্গে কিছুদিন আগেই ব্যাবসায়ী দের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করেছিলেন শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ। তার পরই আজ সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে বিডিওর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী।

তিনি জানান, শান্তিপুরের বিডিও কোনোরকম আলোচনা পঞ্চায়েতের সঙ্গে না করেই নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে হকার উচ্ছেদ নিয়ে তৎপর হয়েছেন। তিনি এক প্রকার শাসক দলের হয়েই কাজ করেছেন। এই এলাকায় একাধিক মানুষের রুজি রুটি এই দোকান গুলি। সেগুলি উচ্ছেদ করে যে পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেটিও একটি সরকারি যায়গায়। পরবর্তীতে বিডিও বদল হলে তাঁদের কি হবে? যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মানুষদের সরকারি দলিল দিয়ে পুনর্বাসন না দেওয়া হয় ততক্ষন তারা এই উচ্ছেদ মানবে না। তবে এ বিষয়ে বিডিও জানান, সরকারের নির্দেশে কাজ হচ্ছে।

এখানে শাসক দলের কোনো বিষয় না। তবে যারা বেআইনি ভাবে দোকান করেছেন তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব না। তারা কিভাবে কি ব্যবসা করবেন তারা জানেন। তবে যারা সরকারি ভাবে পুনর্বাসন পাবেন তারা পোর্টালে নাম লিখিয়ে সরকারি নিয়মেই পুনরবাসন পাবে। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি জানিয়েছেন ফুলিয়াতে একটা কর্মতীর্থ আছে। সেদিকে পুনর্বাসন না দিয়ে বিডিও অন্য জায়গায় পুনর্বাসন দিচ্ছেন।

এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিডিও সন্দীপ ঘোষ জানান, কর্ম তীর্থতেই হবে পুনর্বাসন সেটাও যতটা দেওয়া সম্ভব। বেআইনি ভাবে যারা ব্যবসা করেছেন তাঁদের পুনর্বাসন সম্ভব না। যদিও এই উচ্ছেদ অভিযান সরকারি নিয়মেই চলবে এটা ঠিক। কারণ সরকারি নির্দেশেই সমস্ত কাজ করছে ব্লক প্রশাসন।