গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক বন্ধুতা দিবস

বন্ধুতা
তমাল সাহা

পাশাপাশি বসে নেই বলে কাছে নেই
এমন যদি বলি তাহলে খুব পাপ হবে।
এই কাছে থাকা শব্দ কটি বড় নরম পাখির পালকের মতো
পাখির রঙিন পালক দেখলেই পাখিকে আদর করতে ভালোলাগে।

পাশে না থাকলেও তোমাকে দেখি।
তুমি বলতে পারো কি করে দেখো?
অন্ধ তো হইনি চোখ দুটি এখনও আছে।
অন্ধ অন্ধকারে দেখে, না হলে তার অন্ধীকে কীকরে গোপনে ভালোবাসে!

পাশে না থাকলেও কাছে থাকি, শুধু কাছে থাকি নয় তোমাকে ছুঁয়ে থাকি।
তুমি আবার বলবে কিকরে এসব হয়?
এখনো তো হাত দুটো সংকুচিত হয়নি
তারা উপরন্তু আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে চায় তুমি যেখানেই থাকো তোমাকে ছুঁয়ে থাকে।
হাতের ধর্মই তো ছুঁয়ে থাকা
না হলে হাতের বাঁধন আলগা হয়ে যায়!

ঘরে থাকলেও জানালা দরজা খোলা থাকে
জানালার পাশে পথ, পথভিত্তিক চোখ দুটো উপরে তুললে আকাশ একটু দেখা যায়।
রাতের ওই চাঁদ বা কয়েকটি তারা এসব তো আর আটকানো যায় না!
এসব দেখলেই তোমার কথা মনে পড়ে।
দরজার কাছে এলেই দেখি আঁচল উড়িয়ে তুমি চলে গেলে। মুখটি দেখা না গেলেও একটা বহিরঙ্গের কায়া দেখা যায়
সেটা দেখলে আমার মনসৃজা অন্য একটি কবিতা হয়ে যায়
নারীর মতো সুবাস ছড়িয়ে পড়ে অনুভবরের অঙ্গসমূহে

লতাগুল্ম আপনি গাছ জড়িয়ে থাকে
নদী না জেনে তীর ঘেঁষে হেঁটে চলে
নৌকো জলস্রোত ছুঁয়ে থাকে
মাটির উপরে ঘাস, ঘাসের শিকড় মাটি গভীরে
কে কাকে ছুঁয়ে থাকে!
জলের গল্প শুনে শুনে আগুনও নিভে যায়
পোড়াকাঠে জলের দাগ লেগে থাকে!

প্রশ্বাস দেবে বলে বাতাস মানুষের কাছে আসে
বন্ধুতার স্পর্শ নিয়েই পৃথিবী বাঁচে!