আজ ৪ আগস্ট,আজ বিশ্ব বন্ধূতা দিবস। বাড়াও হাত, স্পর্শ করি তোমায়!

দিন আসে দিন যায়, রাত আসে রাত যায়! আমি কি নিয়ে থাকি? আমার কিসের প্রার্থনা আমি কি নিজে জানি ছাই?
আমি নতজানু, নতশির
তোমাদের বন্ধুতা চাই!
আমার যত লেখা গান,
মানুষকে নিয়ে অশ্রুস্নান।
মানুষ! হে মানুষ! তোমাকে প্রণাম।

বন্ধুতা দিবস ও আমি
তমাল সাহা

গতকাল রাতে
আকাশে ছিল পুর্ণিমার বাঁকা চাঁদ।
জানালাটি খোলা ছিল উত্তরে
যখনই তুমি ঘনিষ্ঠ হয়েছো ওষ্ঠাধরে
পশ্চিম থেকে পুর্বদিকে
ছুটে গেল বোমারু বিমান।
বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠলো
হাসপাতালের ছাদ ও শিশু উদ্যান।

একটি ওষ্ঠ থেকে
আরেকটি ওষ্ঠ ছিটকে সরে গেল দূরে
তখন তুমি আর আমি দাঁড়িয়ে আছি নীরবে
আশ্চর্য দুটি বিচ্ছিন্ন শরীরে।

পরদিন সকালে যারা বেঁচে ছিল
তারা দেখলো
স্কুল ঘর, ফাটা দেয়াল, ঝুলে থাকা ব্ল্যাকবোর্ড।
আর দেখলো
রোগীদের ছিন্নভিন্ন প্রত্যঙ্গ শবদেহ
তারা যেন উঠলো বলে,
পৃথিবী তোমার কাছে
রয়ে গেল আমাদের চির ঋণ।
দেখো হে! তোমরা দেখো!
আজ কী সুন্দর
আন্তর্জাতিক বন্ধুতার দিন!

ছাতিমগাছের ঘনীভূত ডালপালার ভিতর
খড়কুটোর আশ্রয়ে যে ছোট্ট পাখিটি পেড়েছিল ডিম
বিস্ফোরিত ডিম নিয়ে পাখিটি পড়ে আছে
শরীরটি তাহার ভস্মবিলীন।

ধ্বস্ত ছাতিম গাছটি
শুয়ে আছে তার পাশে।
কাল রাতে বিস্ফোরণ হলো
আজকের দিনটি নাকি
বন্ধুতা নিয়ে আসে।

অলকানন্দার জলে
ছিন্ন প্রত্যঙ্গ, নিস্পন্দ দেহ,
পাখি ও পাখির ছানা
পাশাপাশি ভেসে যায়…
মৃত্যুর পাশে
দেখো, শেষ পর্যন্ত বন্ধুতা এসে দাঁড়ায়।

রাষ্ট্রসংঘ দেখো! দেখো!
তোমার বন্ধুতার দিন
প্রতিবছর মৃত্যু হয়, ধবংস হয়
অগ্নিবলয়ে পুড়ে যায় মানুষ
তবুও বন্ধুতার রঙিন পতাকা উড্ডীন!