বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা সংঘটিত ঐতিহাসিক মানবহত্যার ৭৬-তম বার্ষিকীঃ
আজ ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ৯ আগস্ট নাগাসাকি দিবস।
বিশ্বের জঘন্যতম মানবহত্যার দুরপনেয় ইতিহাস।
বীভৎসতা দেখুনঃ
হিরোশিমায় নিহত ১,৪০,০০০
নাগাসাকিতে নিহত ৭৪,০০০
দুই শহরে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্তের মৃত্যু ২,২৪০০০
বিভিন্ন হাসপাতালে অনুসন্ধান চালিয়ে ‘শিমবুন’ জানাচ্ছে
হিরোশিমায় মৃত ২,৩৭,০০০
নাগাসাকিতে মৃত ১,৩৫,০০০
পারমাণবিকা
তমাল সাহা
অমৃতের সন্তান মানুষ!
ঈশ্বরের নাকি ধ্রুপদী সৃজন!
নরহত্যায় মেতেছে এখন
নির্জন করবে বিশ্ব
তার বিশাল আয়োজন।
সকালেই তীব্র আলোর উজ্জ্বল প্রহার—
বায়ুপ্রবাহের ঝলসানো উত্তাপে
মানুষগুলি বিভিন্ন বিভঙ্গে খুন হয়ে যাচ্ছিল
তখন সূর্য রীতিমতো পরাজিতের গ্লানি
মাখছিল মুখে।
বোধ করি আলো-উত্তাপের এতো সঞ্চয়ও ছিল না তার অত বড়ো বিশাল বুকে।
লিটিল বয় ও ফ্যাট বয়ের কাণ্ডকারখানা দেখে কেঁদে ফেলেছিল সূর্য।
এই নাকি মানুষের বুদ্ধিমত্তা, শৌর্য?
পারমাণবিকা ডেকে বলে,
দেখো, আমার হিম্মৎ কতদূর যায়…
তুমি সুয্যি মামা, গায়ে লাল জামা!
দাহপর্ব দেখো,
মানুষ ঝলসে কীভাবে হয়ে যায় ঝামা।
মনে কি পড়ে তোমার আজ সেই দিন!!
রে নাগাসাকি! রে হিরোশিমা!
মানুষ খুন,নরহত্যা নয় যে কঠিন
কে শিখিয়েছিল তোকে?
কে দেখিয়েছিল তোকে?
ইতিহাস হয়ে গেলি তুই এই বিশ্বলোকে।
সমগ্র বিশ্ব দেখেছিল
তিলে তিলে মৃত্যু ও মারণ দৃশ্য—
রাষ্ট্র ঘাতক হলে জলে স্থলে অন্তরীক্ষে
কি তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া!
মানব হৃৎপিণ্ড কোথায় থাকে,
কোথায় তার হিয়া!
রাসায়নিক বাতাস কিভাবে
মানুষকে পাড়িয়ে দেয় চিরতরে ঘুম—
আশ্চর্য অদ্ভুত মৃত্যুচুম!
নিঃশব্দে ফেটে যায় পারমাণবিক বোমা।
নাগাসাকি ! হিরোশিমা!
কি বিচিত্র এই বিশ্ব!!
মানুষের অমানুষিক কাণ্ড কারখানা
প্রকৃতি ও মানব সংহার–
এক অভূতপূর্ব আশ্চর্য দৃশ্য !
কত মানুষ মরেছিল, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু-নারী গিয়েছিল বাদ?
অ্যাটম বোমা কাউকে করেনি রেয়াত।
পর্বে পর্বে উত্তরপুরুষ হয়েছে বিকলাঙ্গ
রাষ্ট্র ! তুমি এখনোও বানাও আগ্নেয়াস্ত্র?
কোথায় যাবে তোমার প্রজন্ম?
স্মৃতি তো ধূসর নয়,
পাতা উল্টে দেখো
সেই বীভৎস মর্মান্তিক বিধ্বংসী ছবি…
সাম্রাজ্যবাদ তুই এমন নৃশংস হবি?
বলো, একবার উচ্চারণ করো
করো,করো ক্ষমা
আর নয় পারমাণবিক বোমা
নাগাসাকি! নাগাসাকি!
হিরোশিমা! হিরোশিমা!