অবতক খবর,৬ আগস্ট,মলয় দে নদীয়া:- এমনই এক বর্ষার দিনে তাঁর বিদায় যাত্রা হয়েছিল। বর্ষণ মুখরিত রাতে স্তব্ধ হয়েছিল তাঁর দিন রাত্রির কাব্য রচনা। বিদায় নিয়েছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ ২২শে শ্রাবণ। বাংলার ১৩৪৮ সালের এই দিনেই তাঁর প্রিয় ঋতুতে নির্বাপিত হয়েছিল কবির জীবনপ্রদীপ।
ইংরেজির সাল ছিল ১৯৪১। প্রকৃতিকে কাঁদিয়ে তার এমন প্রস্থানে শোকার্ত বিদ্রোহী কবি কাজু নজরুল ইসলাম সেদিন শ্রদ্ধা নিবেদন করে লিখেছিলেন, দুপুরের রবি পরিয়াছে ঢলে.. অন্ত পারে কোলে/বাংলার কবি শ্যাম বাংলার হৃদয়ের ছবি তুমি চলে যাবে বলে/শ্রাবণের মেঘ ছুটে এলো দলে দলে।
কবিদেরও কবি ছিলেন তিনি।যিনি মৃত্যুকে বন্দনা করেছেন
“মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান, মেঘবরণ তুঝ মেঘ জটাজুটা রক্ত কমল কর, রক্ত অধর পুট, তাপ বিমোচন করুণ কোর, তব মৃত্যু অমৃত দান করে।
স্কুলের গণ্ডি না পেরোলেও সারা পৃথিবীতে তিনি সেরা সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, চিত্রকর , সঙ্গীতঞ্জ। তাঁর আরো নানা বিষয়ে সৃষ্টি এবং গুণাবলী এত বছর বাদেও সমগ্র ভারতবাসী মিলেও একত্রিত করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বিভিন্ন ঋতু তো বটেই মানব জীবনে নানান পরিস্থিতিতে তার প্রবন্ধ ছোটগল্প কাব্য নাট্য রচনা রম্য রস সংগীত আজও সকল প্রজন্মের কাছে সমান গ্রহণযোগ্য।
আজ শান্তিপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে, পৌরসভা সংলগ্ন রবীন্দ্র কাননে, পৌরসভা কর্তৃক স্থাপিত তাঁর পূর্ণ মূর্তিতে মাল্যদান করেন, পৌরসভার পুরো প্রধান সুব্রত ঘোষ, উপ পুরো প্রধান কৌশিক প্রামানিক, কাউন্সিলর দীপঙ্কর সাহা, উৎপল সাহা, প্রশান্ত বিশ্বাস কাউন্সিলর প্রতিনিধি শাজাহান শেখ, পুরো সভার প্রধান করণিক উদয়ন মুখোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন কর্মচারীবৃন্দ।
তবে পুরসভার পক্ষ থেকে সম্প্রতি কয়েক বছর আগে শিশুদের নিয়ে নানান ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হলেও এবছর কোনো আয়োজন করা হয়নি।