আত্মবলি পদাবলি
তমাল সাহা

এক)
মাসি ও ফাঁসি

রে মাসি!
তিন মুঠো খুদ দিয়ে
কিনেছিলি তুই,
বাঁচিয়ে রাখবি আমাকে
তোর মুখে কী হাসি!
আমিও তোকে কিনবো
রে মৃত্যু সর্বনাশী!
মাসি-র অন্ত্যমিলে রাখবো মান
ফাঁসি! ফাঁসি! ফাঁসি!

দুই)
চেতাবনি

ওরা ছিল চেতাবনি
ওরা দেখেছিল অন্ধকার রাত
ওরা দেখেছিল ফাঁসির দড়ি
ওরা দেখেছিল ফাঁসুড়ের লোমশ হাত
ওরা ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী বারুদ বালক
ওরা আনতে চেয়েছিল রঙিন প্রভাত।

তিন)
বিস্ফোরক

হে বারুদ বালক!
তোমার ছিল চেতানো বুক
তোমার কাছে কিছুই শিখিনি
রাষ্ট্র এখনো শোষক খুনি
শুধু লোকদেখানো স্মরণ—
‘ক্ষুদিরাম আমাদের’!
গর্বে দুদিন বাজাই বুক
আমরা শিরদাঁড়াহীন উজবুক!

চার)
এগারো

এগারো কোনো সংখ্যা নয়
এগারো আগস্ট কোনো তারিখ নয়
একের পাশে এক এগারো
পর পর হও জড়ো
ওই দেখো ক্ষুদিরাম দাঁড়ানো
ভয় কি?
ছোড়ো! শোষকের দিকে বোমা ছোড়ো!

পাঁচ)
ফাঁসি

হাসতে হাসতে ফাঁসিতে গিয়েছিলে
স্বদেশভূমি চুমি।
গলায় ফাঁসির দাগ এখনো লেগে,
কি দেখছো তুমি?
কেঁদে ফেললো ক্ষুদিরাম–
কোথায় মুক্ত স্বাধীন মা?
ফাঁসিতে ঝুলছে আমি নই, ভারত ভূমি!

ছয়)
ঋজু বক্ষ

পুঁথি পড়ুয়া
তর্কবাগীশ বিপ্লবী সব
ময়দানী লড়াইয়ে নীরব।
কোথায় এমন চেতানো বুক!
মায়ের চোখের জল মোছাবে
উজ্জ্বল করবে মুখ?