অবতক খবর,১২ আগস্ট: বেদনা দায়ক মৃত্যু আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ।তদন্তে উঠে আসলো নয়া সূত্র ।নড়েচড়ে
বসছেন পুলিশ কমিশনার ।জানালেন চারপাঁচ দিনে শেষ করা হবে তদন্ত ।ইতি মধ্যেই
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ।
সূত্রের খবর ,ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে হাড় ভেঙে যাওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। শরীরে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। মুখে, ঠোঁটে, পেটে, হাতে-পা ও যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখানেই প্রশ্ন ওঠে, শুধুই কি এক জন জড়িত এই ঘটনায়? এক জনের পক্ষে কি সম্ভব এই নির্যাতন?যখন এমন বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসছে, ঠিক সেই আবহে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
জানা যায় , সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। তারা মৃত চিকিৎসকের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। বেরিয়ে মমতা কার্যত কলকাতা পুলিশকে সময় বেঁধে দেন। রবিবারের মধ্যে তদন্তের কিনারা না হলে, সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এ কথা বলার সময় পাশেই ছিলেন পুলিশ কমিশনার। মুখ্যমন্ত্রীর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে একাধিক অভিযুক্তের জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি।
এই ঘটনায় , বিনীত গোয়েল জানান, পরিবারের লোকেদের দাবি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সর্ব ক্ষণ যোগাযোগ রাখা হবে এবং তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে, তা পরিবারকে জানানো হবে বলেও আশ্বস্ত করেন। একাধিক অভিযুক্ত জড়িত থাকার তত্ত্ব যে পুলিশ একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না, তা-ও কার্যত বুঝিয়ে দেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, “যদি আরও কেউ জড়িত থাকেন, আমি নিশ্চিত আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করতে পারবে। তার পরও যদি পরিবার সন্তুষ্ট না থাকে, সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা-ই হবে।”