অবতক খবর,৩০ আগস্ট: ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সাফল্য চাঁদকে যেন আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলেছে। সমস্ত দেশবাসীর কাছে তেইশে আগস্ট ২০২৩ দিনটি হৃদয়ে ভারতের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
ভারতের চন্দ্রযান -৩, সফল অবতরণ একবছর পূর্ণ হলো।এই উপলক্ষে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা চক্রের ৩০ নং আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সপ্তাহ ধরে নানান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো।ন্যাশন্যাল স্পেসডে হিসাবে পালিত হওয়ার সাথে সাথে শিশুদের নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতার ব্যাবস্থা ও কুইজের ব্যাবস্থা করা হয়।প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্তের তত্ত্বাবধানে শিশুদের চন্দ্রযান -৩ মডেল তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবাং ৫০ টির বেশি মডেল তৈরি করে শিশুরা।যা নিয়ে প্রদর্শনী করা হয়।
দ্বিতীয় শ্রেণির শ্রুতি মণ্ডল চন্দ্রযান -৩ মডেলে প্রথম হয়। বিদ্যালয়ের বাবুলাল স্মার্ট ৪৩” ইঞ্চি টিভি তে ইউটিউব ও গুগুল থেকে সৌরজগত ও চন্দ্রযান-৩ সফল উৎক্ষেপণ দেখানো হয়। প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত জানালেন সফল উৎক্ষেপণের পিছনে রয়েছে ২৫ জন বঙ্গ সন্তানের অদম্য কৃতিত্ব। তারমধ্যে চন্দ্রযান প্রজেক্টের ডেপুটি ডাইরেক্টর তুষার কান্তি দাস আমাদের বেলডাঙার সন্তান। ২০২৩ সালে ১৪ জুলাই শুক্রবার নির্ধারিত সময় দুপুর দুটা বেজে ৩৫ মিনিটে এল ভি এম থ্রি রকেট কমলা সাদা ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে চাঁদের মাটির স্পর্শের লক্ষ্যে রওনা দেয়। এই চন্দ্রযাত্রীর চন্দ্র অভিযানের সফল উৎক্ষেপনের সারা ভারত এক ইতিহাস রচনা করে ।
মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে মহাকাশযানটি তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায়। ২৩ আগস্ট ঠিক সন্ধ্যা ছটা বেজে চার মিনিটে বিক্রম সফলভাবে সফটল্যান্ডিং হয় দক্ষিণ মেরুতে। উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার ফলে একদিকে যেমন ভারতীয় স্পেস রিচার্জ প্রোগ্রাম কয়েক কদম এগিয়ে গেল, ঠিক তেমনি ভারত বিশ্বের অনেক দেশকে পিছনে ফেলে দিল। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে। চন্দ্র অবতরণের ক্ষেত্রে আমেরিকা রাশিয়া চীনের পর চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত সফলভাবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে।