যত পড়ি তত হই ঋণী, তার চেয়েও বেশি হই ধনী
১৩ সেপ্টেম্বর সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্মদিন। তাঁহাকে প্রণাম
প্রণম্য
তমাল সাহা
১)
বেশ্যারা আমার শিক্ষিকা
আমি বেশ্যাদের ভালোবাসি। তাদের কাছে যাই। বিভিন্ন ভাষা ও গালাগালি শিখি।বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষেরা বেশ্যাখানায় আসে।
তাই তারা বিভিন্ন ভাষা শেখে অনায়াসে।
স্বাধীনতা সংগ্রামে বিপ্লবীদের আশ্রয় দিয়েছিল বেশ্যারা।আমি বেশ্যাদের ভালোবাসি। বেশ্যারা সব জানে বিশ্বাসঘাতকতা জানেনা।
২) দৃষ্টি
চোখের দৃষ্টি বাড়াতে
অপারেশন নয়, চিকিৎসক নয়,
চোখের আসল ডাক্তার
বই পড়া ও বই কেনার প্রবৃত্তি।
বই ও মানুষ পরস্পরের সম্পৃক্তি।
৩) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস যখন নামে তখন
সরল সাধারণ নির্দোষ মানুষও তার শিকার।
সে মনে করে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়াটাই রাষ্ট্রের অধিকার।
তারপর জেলের ভিতর কাটে তার দিনের পর দিন।
কিভাবে মুক্তি পাবে জানেনা সেই অর্বাচীন।
সে বোঝে জেলের ঘানি টানাটাই তার জীবন
সে শুধু জেল কয়েদি তখন।
তার নাম ঠিকানা সাকিন
শেষ পর্যন্ত শুধু একটি সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায়।
সব প্রশ্নের জবাবেই– ‘মা খু চিহল ও পঞ্জম হস্তম’, আমি তো ৪৫ নম্বরের’ সে আউরে যায়!
৪) পুঁথি ও প্রিয়া
বিবর্ণ হয়ে যায় প্রিয়ার সৌন্দর্য
বিলীন হয়ে যায় বুকের ঘ্রাণ।
বইয়ের ঐশ্বর্য তরতাজা রাখে
অক্ষরের গন্ধ অম্লান।
কোথায় প্রিয়া?
তাকে গ্রাস করে পুঁথির নেশা।
বইয়ে বুঁদ হয়ে আছে সে,
বই এমন সর্বনাশা।
সব চলে যায়…
বই হাতে নিয়ে সে একা থাকে,
জীবন মাতায়!
৫) চুম্বন বিষয়ক
চুম্বন ও চুম্বক আসলে দুটি একই বস্তু। দুটোর ধর্মও এক।
চূম্বনই একমাত্র খাদ্য যা দুজনা একসঙ্গে ইচ্ছে করলেই খাওয়া যায়,কখনো একা খাওয়া যায়না।
কিন্তু মেয়েরা অনেকক্ষণ খেতে পারে না। তারা কথা কয়ে ফেলে!
ঠোঁট না থাকলে যে মানুষের কী হতো! আর ভেবে কোনোদিনও চুমু খাওয় যায় না।
৬) পাপ
পাপ থাকলে থাকতে পারে। আমি দেখিনি কখনও।
ভালোবাসায় পাপ নেই কোনো।
পোড়ো বাড়ি, মন্দির-মসজিদ,
অরণ্য, নদীতীর, সমুদ্র তট, মিছিল—
সর্বত্রই ভালোবাসা ছড়ানো।
কৃতজ্ঞতাঃ সৈয়দ মুজতবা আলী