আকাশ দখল! আকাশও বলে, বিচার চাই!
আকাশও নারী, আকাশ তো নীলিমা!
জেগে থাকো জাগাও আমাদের তিলোত্তমা!

ঘুড়ি কি নারী?
আজ আকাশের বুকে উড়বে শুধু কালো ঘুড়ি।
এসো, আমরা তিলোত্তমাকে স্মরণ করি

কালো ঘুড়ি
তমাল সাহা

ভাদ্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ে আকাশে
বিশ্বকর্মার জাতকেরা ঘুড়ি নিয়ে আসে।

ঘুড়ি উড়বে, ওড়াই তার ধর্ম।
মাটিতে পা রেখে লাটাই হাতে নতুন প্রজন্ম।
ঘুড়ি ওড়ে নিজস্ব নিয়মে, উড়াল দেওয়াই তার কর্ম।

ঘুড়ি কেন ওড়ে আকাশে—
যদি জানতে চাও ঘুড়ি বলবে,
সেই অদৃশ্য অনুভবের কাছে যাও
সব গোপন কথা লেখা আছে বাতাসে।

বাতাস বলে, আসলে ওড়ার ইচ্ছে থাকা চাই।
অনুকূল প্রতিকূল হাওয়ার পরোয়া করে না ঘুড়ি।
মানুষকে শেখাতে চায় তাই সে ওড়ে ঊর্ধ্বে
আসল উদ্দেশ্য
কিভাবে দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় তার ওড়াউড়ি।

যত পারো সুতো ছাড়ো,
ঢিলায় প্রথমে খেলাতে হবে
তারপর টানা মাঞ্জার কেরামতি।
লাট খেতে খেতে উড়ে যায় ঘুড়ি
মানুষের হাতে লাটাই, পেশির টানে ভোকাট্টা।
মানুষের জীবনও এমনই, চড়াই উৎরাইয়ের সংগ্রামই তার বাঁচার পদ্ধতি।

সংক্রান্তি মানে সম্যক ক্রান্তি—
এ বিষয়ে তোমার থাকে না যেন কোনো বিভ্রান্তি।
সংক্রান্তি, দুঃসময়ের মাসের দিনাবশেষ
শরতের আগমনী,
চতুর্দিকে কাশফুলের সমাবেশ।

ঘুড়ি বলে, স্থবিরতা মানেই পতন।
গতিময়তায় উজ্জ্বল কত ঘুড়ি উড়ছে আকাশের দিগ্বিদিক।
অন্ধকারের আধার ফুঁড়ে ছুটে আসে আলো
কালো ঘুড়ি আসলে আঁধারের প্রতীক!