অবতক খবর,২২ নভেম্বর: বিধানসভায় ঢোকার আগে শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া–
বিরোধীদের আগেই আক্রমণ করা হয়েছে, এবার লক্ষ্য তৃণমূলের হিন্দু নেতারা।
সুশান্ত ঘোষ , সুদর্শনার উপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে আশঙ্কা প্রকাশ বিরোধী দলনেতার।
বারাবনির আইসিকে সাসপেন্ড করাকেই সমর্থন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
তবে পুলিশের একাংশ শুধু নয়, তৃণমূলের একাংশ জড়িত রয়েছে। যারা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতায় পুলিশী পাহারায় টাকা পাঠান বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
*আপনার যদি সত্যিই সংস্কারে সদিচ্ছা থাকে, আপনি বিরোধী দলনেতাকে একদিন ডাকুন, বসে আপনার কাছে সব হিসাব দিয়ে আসবো। সাহস থাকলে অজিত সিংকে দল থেকে সাসপেন্ড করুন। – শুভেন্দু অধিকারী*
*ট্যাব জালিয়াতিতে* কোন গ্যাং জড়িত হলে তারা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলে অবশ্যই তারা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন – শুভেন্দু অধিকারী
*ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে তৃণমূলকে ফের আক্রমণ শুভেন্দুর*
বৈধভাবে অবৈধ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আপনি যে টাকা নিয়েছেন, তার জেরেই এইসব পাচার। পুলিশের একাংশ জড়িত অবশ্যই। কিন্তু শুধু তারা এরকম নয়। পুর এলাকার ভোটাররা আগে কংগ্রেসকে ভোট দিতেন, তৃণমূল তৈরিরপর তৃণমূলকে ভোট দিতেন।
২০২৪ এ প্রথম ৭৫ ভাগ পুরসভা এলাকায় তৃণমূল হেরেছে। তাই উনি মাঝে মধ্যে এই ধরনের বার্তা দিয়ে দিচ্ছেন।
(আলু পাচারে পুলিশ জড়িত প্রসঙ্গে এ কথা বলেন শুভেন্দু)
*আলু রপ্তানিতে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ*
পশ্চিম মেদনীপুরের হিমঘরে যে আলু মজুত রয়েছে ওটা না বলতে পারলেও, হুগলি বা বর্ধমানের হিমঘরে যে আলু মজুত রয়েছে। ওই বিষয়ে ওখানকার তৃণমূল নেতারা ভালো বলতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী ওদের সঙ্গে কথা বলা উচিত।
*পূর্ব কলকাতা জলা জমিতে ল্যান্ড জিহাদ?*
জাভেদের ছেলে আর সুশান্ত ওখানে যা করার করে নিচ্ছে । সুশান্তর যে বাংলো রয়েছে, একটা সহধর্মিণীর নামে সেতো আলিশান বাংলো। ভূমি দখল না হলে প্রমোটিং হবে কি করে। এক কোটি পাঁচ কোটি হবে কি করে। বাইপাস ধাবা হবে কি করে!
উপনির্বাচনের ফল নিয়ে কী আশা!
নির্বাচন নিয়ে আমার যা বলার আগে বলে দিয়েছি। যেখানে যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে এনডিএ ও বিজেপির ওপর তারা আস্থা রাখবে। মহারাষ্ট্র ঝাড়খন্ড উত্তরপ্রদেশে। সেখানে কয়েক লক্ষ করে বাঙালি ভোটার রয়েছে, তারা বিজেপিতে পরের মতই আস্থা রাখবে।
বিধানসভা ভোটে পুলিশ যাতে ক্যাডারের মতো কাজ করে, সেই লক্ষ্যেই তৃণমূল মুখপাত্রের পুলিশকে হুঁশিয়ারি, অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
অভিজিৎ মন্ডল গ্রেপ্তারির পর পুলিশের একাংশ ভয় পেয়েছে। মমতা অভিজিৎকে বাঁচাতে পারেনি, বিনীত গোয়েলকে বাঁচাতেও পারবেনা। তাই পুলিশের যারা সরে যাচ্ছে, তাদের লাইনে আনার জন্য এই ধরনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটে পুলিশকে প্রয়োজন। তাদের যাতে ক্যাডারের মত কাজ করানো যায় , এই লক্ষ্যেই এত হুংকার।