অবতক খবর,৬ ফেব্রুয়ারী : ২২ একর জমির উপর তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য সরকার। আগামী আরও কয়েক বছর মন্দিরের সমস্ত খরচ বহন করবে সরকার। জগন্নাথ মন্দিরে আলাদাভাবে ভোগঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম, বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকবে।
পুজো দেওয়ার সামগ্রী বিক্রির আলাদা জায়গা থাকবে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরে জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থাও করা হবে। দোকান করবেন সনাতন ধর্মের লোকেরাও। পুরীর খাজার মতো দিঘায় মিলবে বাংলার ক্ষীরের গজা, প্যাড়া, গুজিয়া। এগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ঘর তৈরি করে হবে ট্রাস্টি। মার্বেলের মূর্তি তৈরির কাজ শেষ। নিম কাঠের মূর্তি বানানোর কাজ চলছে। এই মূর্তিকে সামনে রেখেই পুজো হবে।
তৈরি হবে লক্ষ্মীর মন্দিরও। বানানো হবে চৈতন্যদ্বারও। সেখানে থাকবে শ্রীচৈতন্যদেবের মূর্তি। এটাই হবে মূল দ্বার। নাম হবে, ‘চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম।’ পুরীর মতোই এখানেও ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকবে। এনিয়ে পুরীর সদস্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে।
সেখানকার মন্দিরে ধ্বজা তুলতে পারেন এমন কয়েকজনকে দিঘার মন্দিরে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, দিঘায় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির কাছে একটি ঘাট তৈরি করে দেবে হিডকো। জেলা পরিষদের বাড়ি অধিগ্রহণ করে তৈরি হবে পুলিশ পোস্ট। এছাড়া, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।