অবতক খবর,২১ ফেব্রুয়ারী,নববারাকপুর :আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারি ।আমি কি ভুলিতে পারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শুক্রবার সকালে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শ্রদ্বার্পণ অনুষ্ঠান করল নববারাকপুর পুরসভা।কৃষ্টি প্রেক্ষাগৃহের সামনে ভাষা শহীদ স্মারক স্মৃতিস্তম্ভে মালা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস, পুরসভার বড় বাবু দেব প্রসাদ রাহা, পুর প্রতিনিধি নির্মিকা বাগচী, কৃষ্ণা বোস, জয়গোপাল ভট্টাচার্য, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ধীরাজ নন্দী, কোঅপারেটিভ হোমস লিমিটেডের সম্পাদক সুজিত চন্দ, বাচিকশিল্পী জয়া বসু সহ বিশিষ্ট গুনীজনেরা।

বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের সংগীত ‘বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল পুন্য হউক পুন্য হউক হে ভগবান…. সমবেত কন্ঠে সকলে পরিবেশন ছিল বেশ সাবলীল। পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন আজ বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত গৌরবের দিন। সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলব সন্মান জানাবো। ইংরেজি হিন্দি ভাষা যেমন শিখবো তেমনি বাংলা ভাষায় সবাই কথা বলব। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সম্পন্ন মধুর ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা কে রক্ষা করতে হবে। ভাষা আন্দোলনের শহীদ দের শ্রদ্ধার্পণ যথাযথ মর্যাদার সাথে দিনটি পালন করল নববারাকপুর পুরসভা স্মৃতি স্মারক স্তম্ভে।

শ্রদ্ধা সন্মান জানাই ভাষা আন্দোলনে শহীদদের। বাংলাদেশে ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা সত্যিকারের গরিমা আগামী প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের কাছে বেশি করে পৌছে দিতে হবে। অভিভাবক রা অনেক সময় বলেন সন্তান রা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেনা। এটা গর্বের নয় এটা আমাদের ডিসক্রেটিড। অভিভাবক দের বলবো বাড়ির সন্তানদের বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে পারে সেই বিষয় টির প্রতি বেশি নজর দেবেন। আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা সন্মান দিতে হবে। তবেই বাংলা ভাষার লড়াই আন্দোলন চিন্তা চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।