অবতক খবর,২৩ ফেব্রুয়ারী:  বিগত দশ বছর ধরে নিউ বারাকপুর ও ঘোলা থানার অন্তর্গত বিলকান্দা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত যেন হয়ে উঠেছিল গাঁজা ব্যবসায়ী দের স্বর্গরাজ্য। বাম জামানায় বিলকান্দা লেনিনগড় এলাকায় কুখ্যাত ছিল বিভিন্ন মাস্তান ও চোলাই মদের উৎপত্তি স্থল হিসেবে। কিন্তু বিগত দশ বছর ধরে চোলাই মদের ব্যবসায়ীরা নিজেদের গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে সংপৃক্ত করে ফেলেছেন।

কিন্তু বর্তমান পুলিশ প্রশাসন অতি সক্রিয়তার সঙ্গে এই গাঁজা ব্যবসার মোকাবিলা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ঘোলা এসিপি তনয় চ্যাটার্জি ও নিউ বারাকপুর থানার আইসি সুমিত কুমার বৈদ্যে দুজনার সক্রিয়তা প্রশংসার দাবি রাখে। গত দশ বছরে নিউ বারাকপুরের মানুষ এমন তৎপর পুলিশি চাক্ষুষ করেনি বলে মনে হয়। সেই পুলিশ সক্রিয়তায় শনিবার রাতে নজির হিসেবে সাব ইন্সপেক্টর অর্ণব মিস্ত্রির নেতৃত্বে বিলকান্দা অঞ্চলে র্্যানডম নাকা চেকিং এর সময় বোদাই ইদগার মসজিদের সামনে একটি মটর সাইকেলের সাথে তিনজন আরোহী কে আটক করা হয়।

যাদের কাছ থেকে তিনটি ব্যাগে প্রায় ২২ কিলো গাঁজা উদ্ধার করা হয় পরে নারকোটিক্স আইন মোতাবেক ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে সমস্ত গাঁজা ও মটর সাইকেল এবং তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত সহ গাঁজা পাচার কারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ধৃত তিন জন হলেন প্রিন্স পোলেন, অজয় সরকার এবং সুরজিৎ মজুমদার। দুজনের বাড়ি বিলকান্দা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এবং একজনের বাড়ি নিউ বারাকপুর পুরসভার ৯নং ওয়ার্ডে মিলন মন্দির ঢাকিপাড়া। পুলিশ সূত্রে জানা যায় গাঁজা ব্যবসা ওগাঁজা পাচারের বিরুদ্ধে এমন ভাবে পুলিশ ভবিষ্যতে ও তৎপর থাকবে এবং এলাকাতে কিছু সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।