অবতক খবর,১২ মার্চ: রামগঞ্জ হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দাবি তুললেন রামগঞ্জ এলাকার স্থানীয়রা সহ রোগীর আত্মীয়রা। রামগঞ্জ এলাকার স্থানীয়রা দাবি করেন রামগঞ্জ থেকে ইসলামপুর যেতে অনেক সময় লাগে এমনকি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে ইসলামপুর যেতে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়।। যদি রামগঞ্জ হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসা হয় তাহলে খুব সুবিধা হবে তাই আমদের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যাতে রামগঞ্জ হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসানো হয়। রামগঞ্জ একটা বিশাল এরিয়া জুড়ে রয়েছে আর একমাত্র ভরসা রামগঞ্জ হাসপাতালে উপরে। সব সময়ই রামগঞ্জ হাসপাতালে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লাগে।
যদিও রামগঞ্জ হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের মাসে একবার দেখা হয়। আমরা চাই এটা প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একবার করে বসানো হোক। মাসে একবার বসাতে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয় গর্ভবতী মায়েদের । আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরপষ কাছে দাবী করছে যাতে মাসে একবার নয় সপ্তাহে অন্তত একবার করে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বসানো হয়। এতে গর্ভবতী মহিলাদের অসুবিধা হবে না । তবে এই বিষয়ে রামগঞ্জ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায় জানান আমরা বিষয়টি রামগঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাবো যাতে প্রত্যেক সপ্তাহে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসানো হয়। অন্যদিকে রামগঞ্জ একনং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কামালুউদ্দিন বলেন খুবি দরকার স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অর্থাৎ (গাইনোলজি) চিকিৎসকের। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো, এমনকি উচ্চ নেতৃত্বদের জানাবো যাতে প্রত্যেকদিন বা সপ্তাহে অন্তত একবার করে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসানো হয়।
তবে বিপিএইচসি সূত্রে জানাগেছে, মাসে একবার ক্যাম্প করা হয়। তাতে প্রায় ১০০ গর্ভবতীরা পরিষেবা পান। একটি বেসরকারি ল্যাবের সঙ্গে টায়াপ করে গর্ভবতীদের বিনামূল্যে উইসিজি করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিএমওএইচ হিমজিৎ ঘোষ বলেন, পিএমএসএমএ স্কিমের মাধ্যমে উচ্চ ঝুকিপূর্ণ গর্ভবতী মহিলাদের সনাক্তকরণ ও যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্যই মূলত এই শিবির হয়। এই শিবিরের পাশাপাশি একই দিনে আরও একটি শিবির করা হয় যেখানে ৩ মাস কিংবা তার কম গর্ভবতীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মায়েদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না এবং বিশেষজ্ঞও সময় দিয়ে পরীক্ষানিরিক্ষা করতে পারছেন।
বিপিএইচসিতে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নিযোগ হয় না। সাধারণ এমবিবিএস চিকিৎসকেরাই গর্ভবতীদের চিকিৎসা করেন।