অবতক খবর,সংবাদদাতা,উত্তর দিনাজপুর , ২৯ শে ফেব্রুয়ারী :: রাধিকাপুর থেকে কলকাতা দিনের বেলা ট্রেন পেল জেলা বাসিরা বাসিন্দারা। শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্টেশন ,রাধিকাপুর স্টেশন থেকে রাধিকাপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন হল। সবুজ ফ্ল্যাগ নেড়ে দিনের কলকাতা ট্রেনের শুভ সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ চানবাসাপ্পা অঙ্গদি। উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যান প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।
উত্তর দিনাজপুর জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল দিনের বেলা কলকাতা যাওয়ার ট্রেনের। লোকসভা ভোটের আগে এই দাবি জোড়ালো হয়ে উঠেছিল। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ও রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী জয়ী হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর রায়গঞ্জের মানুষের মনে আশা জাগে নতুন ট্রেনের। অবশেষে রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যান প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর উদ্যোগে দিনের কলকাতা ট্রেন পেল রায়গঞ্জ তথা জেলার বাসিন্দারা
প্রতিদিন বেলা ১১ টায় এই ট্রেন রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে ছেড়ে, হাওড়া রাত ১১ টায় পৌঁছাবে। ওদিকে হাওড়া স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে আটটায় রওনা হয়ে, রায়গঞ্জে এসে পৌঁছোবে রাত্রি সাতটাতে। এতদিন পর্যন্ত কলকাতা যাওয়ার জন্য একটি মাত্র রাতের ট্রেন ” রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ” ছিল। ফলে সেই ট্রেনে কলকাতা যাওয়া দুষ্কর ছিল। এখন দিনের বেলায় আরও একটি ট্রেন চালু হওয়ায় রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা যাওয়ার বাড়তি সুবিধা পেল বাসিন্দারা।
শনিবার রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যান প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে সাথে নিয়ে রায়গঞ্জ থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে প্রান্তিক স্টেশন রাধিকাপুর থেকে রাধিকাপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করলেন রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ চানবাসাপ্পা অঙ্গদি।
রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা দিনের ট্রেন উদ্বোধন করে রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যান প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রায়গঞ্জের মানুষের দাবি ছিল এই ট্রেনের। মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পেরেই আমি অতি দ্রুত দিনের ট্রেন চালুর ব্যাবস্থা করেছি। তাড়াহুড়ো করার কারনে এই ট্রেনের সময়সীমা নিয়ে একটু সমস্যা হতে পারে। পরবর্তীতে রাধিকাপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সীমা পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে রায়গঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরন করতে পেরে ভালো লাগছে। আগামীতে আরও অনেক উন্নয়ন হবে।