অবতক খবর, সংবাদদাতা :: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডিতে শ্বশুরবাড়িতে ত্রিকোণ প্রেমের জেরে জামাইকে মেরে টানা সাতদিন সেপটিক ট্যাংকের পুতে রাখার অভিযোগ উঠল শ্বশুর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে । মৃত ব্যক্তির নাম সোহেল রানা, বয়স আনুমানিক ২২ বছর। বাড়ি কুশমণ্ডি থানার খুঁটিপুকুর এলাকায় । তিনি দিল্লিতে কয়েকমাস আগে গিয়ে সেখানে দিন মজুরের কাজ করতেন । কুশমণ্ডি ব্লকের ৪ নম্বর বানিয়ারি গ্রামের মেয়ে সুলতানা রাজিয়ার(সুমি) সঙ্গে বিয়ে হয়ন তাঁর । বর্তমানে তাদের একটি ছোট মেয়ে রয়েছে ।
কিছুদিন আগে মৃত সোহেল রানা নিজের দাদুর বাড়ি সিন্তর এলাকায় বেড়াতে এসেছিল । তার আসার খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির শাশুড়ি জ্যোৎস্না বেগম তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় । কিন্তু গ্রাম মারফত সোহেল রানা জানতে পারে তার স্ত্রীর সঙ্গে এক সিভিক ভলান্টিয়ার কোলেন আলীর অবৈধ সম্পর্ক থাকার জন্যই অশান্তি লেগে থাকত পরিবারে ।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই কারণেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জামাইকে খুন করেছে এবং সেপটিক ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখে । এই ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার ভোরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং গ্রেফতার করা হয় ৫ ব্যক্তিকে । পরে পুলিশ আধিকারিক এবং কুশমণ্ডি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সোহম চৌধুরী সবার উপস্থিতিতে সেপটিক ট্যাংক থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে কুশমণ্ডি থানায় নিয়ে আসা হয় ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য ।
এই ঘটনার পর কুশমণ্ডি থানার পুলিশ আর কারা কারা জড়িত তা তদন্তে নেমেছে । গ্রামবাসীদের ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কে আগে পুলিশ গ্রেফতার করুক তাতেই সব কিছু সত্য সামনে চলে আসবে। এলাকাবাসী দাবি উপযুক্ত শাস্তি হোক দোষীদের ।