আজ বিশ্ব নারী দিবস। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ভারতবর্ষেও নারী দিবস পালিত হবে, ভারতবর্ষের নারীরা শাহীনবাগ চত্বরে,পার্ক সার্কাস ময়দানে,স্বাধীনতা উদ্যানে লড়ে যায় আশ্রয়ের সন্ধানে। এই নারীদের আমি মুখ দেখি নারী দিবসে।
এইসব নারীদের মুখ
তমাল সাহা
প্রিয়তমা নারীর মুখ আমি দেখি প্রতিদিন।
অগণন নারীর মুখ দেখিব বলিয়া আজ বিস্তীর্ণ প্রান্তরে দাঁড়াই।
নারীরা সবই কি একইরকম হয়!
সারা আকাশ জুড়ে ছড়ানো নক্ষত্রের মতো
তাহাদের মুখের বিভঙ্গে, দৃষ্টিপাতে আমি আশ্চর্য হয়ে পড়ি।
নারী শব্দটির ভিতর কোনো ধর্ম লুকায়ে থাকে নাকি? আমি তো বুঝিনা আর।
সব নারীরই দৃষ্টি উজ্জ্বল উদ্ধার
ভালো লাগে আমার।
এত নারী আসে কোত্থেকে জলধারা যেন!
পৃথিবীর তিনভাগ জল, এক ভাগ স্থল– কবেকার কথা।
তিনভাগ নারী আর আমি একভাগে দাঁড়ায়ে দেখি,শীতের কাঁপুনি, শিশিরের পতন উপেক্ষা করে তারা পড়িয়া রহিয়াছে শাহবাগ চত্বরে,পার্ক সার্কাস ময়দানে।
আরো নারী ক্রমাগত বাড়িতেছে বসন্তের উজ্জ্বল রাগে স্বাধীনতা উদ্যানে— নারীরা ক্রমশ ছড়াতেছে ভারতবর্ষের চরাচরে।
সব নারীরা সমস্বরে আজাদি চায়,
তারুণ্যমাখা নারী দেখি,
বলিরেখাময় অবয়ব দখল করিয়াছে দাদিমা ঠাম্মার—
তাহাদের প্রত্যয়ী মুখ দেখি।
এইসব নারীরা প্রজন্মের তরে নামিয়াছে ময়দানে, লড়াই করে রৌদ্র জল ঝড় বৃষ্টির ভিতর।
নারীরা সর্বশক্তিমান ভয়হীন দুর্জয় দুর্বার।
কোনো নারী দিবসে এত নারী দেখি নাই আমি—
বিস্ময়ে হতবাক এইসব নারীদের মুখের দিকে চাহিয়া থাকি বারবার।