অবতক খবর, উত্তর ২৪ পরগণাঃ  সপ্তম শ্রেণীর নাবালিকাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বিয়ের পিঁড়িতে অজ্ঞান হয়ে গেলেও তাকে দেওয়া হয় জোরপূর্বক বিয়ে। খবর পেয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার মোড় এলাকায়।

 

সূত্র মারফৎ খবর পাওয়া গিয়েছে, সপ্তম শ্রেণীর ওই নাবালিকা বাবা মারা যাওয়ার পরে মসলন্দপুরে বড়দের কাছে থাকতো। সম্প্রতি নাবালিকার মেজোদিদি তৃপ্তি মজুমদার গাইঘাটা থানার শিমুলপুর ষষ্ঠীতলায় তার বাড়িতে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসে। সেখান থেকে গত বুধবার গাইঘাটার মহিষাটি বাসিন্দা বছর চল্লিশের গৌতম বাড়ুই এর সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। বিয়ের পিঁড়িতে ১৪ বছরের ওই নাবালিকা অজ্ঞান হয়ে গেলেও তাকে সেই অবস্থায় বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৌতমের বাড়ি থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে গাইঘাটা বিডিও পুলিশ প্রশাসন। প্রশাসনের লোক বাড়ি ঢুকতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

 

নাবালিকার বড় দিদি সুদেবী মন্ডলের অভিযোগ, তার মেজবোন তৃপ্তি বেড়ানোর নাম করে ছোট বোনকে নিয়ে এসে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়। যা সে জানত না। গতকাল এই মর্মে গৌতম বাড়ুই এর বোন তৃপ্তি মজুমদারের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে গাইঘাটা পুলিশ।