আজ রবিবার। জাতির পরীক্ষার দিন। সতর্ক থাকুন। জাতির বড় দুর্দিন..

রবিবার
তমাল সাহা

এই অস্তগামী বেলায়
কত লোক কত কি বোঝায়,
শুনে যাই বধির হওয়া এই কানে।
রবিবার ছুটির দিন রেড লেটার হয়ে ওঠে করোনা তোর কারণে।

আজ বেরোবে না, কার্ফু জারি।
কার্ফু শব্দটা ব্যবহার করলে কেন ব্যাপারী?
থালা বাজাতে হবে নির্দেশ জারি।
রাজধানীতে দাঙ্গা যখন,
তখন প্রশাসন নিশ্চুপ ভারি।
থালা, সাইরেন, জলকামান কোথায়?
তখন তো চোখের সামনেই একনাগাড়ে
মানুষ খুন হয়ে যায়!
জাতির উদ্দেশে ভাষণ
তখন কি কেউ করেছিল বারণ?

বারো ঘন্টা অতিক্রান্ত হলে করোনা নাকি ভাঙবে তার চেন।
এতদিন পরে খুলল কেন এই ভারতীয় ব্রেন?

করোনা কি হিন্দু নাকি
বিষ্যূৎবার লক্ষ্মীপুজো করে
শুক্কুরবার সন্তোষী মা
শনিতে গ্রহ
রবিতে তার কেন এতো আগ্রহ?
বুঝেছি,রবির সৃর্যতাপকে সে ভয় পায়
পথ খুঁজে পায়না পালাবে কোথায়?

রবিবারের পর আসবে সোমবার। ‌
সেইদিন কি করোনা
ভালোবাসবে না আমায়?
কতবার হাত ধুয়ে ধুয়ে
বলতো ছোঁবো তোমায়?

হঠাৎ জারি সান্ধ্যআইন, জনতা কার্ফু!
জনগণকে এতো ভালোবাসো?
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ,
দশ লাখি স্যুটে কাছে আসো।

তোমার আবিষ্কার
করোনার করুণায় ভারতীয় রবিবার
হলো লাল অক্ষরের দিন।
বিকেল পাঁচটায় থালা বাজাই
ঘরবন্দি ঘন্টা বাজাই সারাদিন।

একদিনে নয় হলো করোনা উধাও,
সোমবার থেকে তুমি কি বলবে,
তোমাদের আর ভয় নেই কোনো,
ভালোবাসার মানুষটিকে জড়িয়ে ধরে
তোমরা পরস্পরের কথা শোনো।

তুমি কি বলবে,
অনেক হয়েছে, আর এনপিআর নয়।
দিচ্ছি বরাভয়,এ দেশই তোমার আশ্রয়।
পিতা-প্রপিতামহ থেকে আছো এই দেশে,
এই ভারতবর্ষ তোমার!
থাকো সদর্পে গর্বে ভালোবেসে।