অবতক খবর, সংবাদদাতা :: আবারও মধুচক্রের হদিস মিলল ব্যারাকপুর মহকুমা অঞ্চলে। স্থানীয় সূত্রে খবর,জগদ্দলের ড্রিমল্যান্ড হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছিল মধুচক্রের আসর। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় জগদ্দল থানার পুলিশ এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দারা। এরপরই ব্যারাকপুর-কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে কাউগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ড্রিমল্যান্ড নামক হোটেলে হানা দিয়ে মধুচক্রের আসর থেকে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যার মধ্যে রয়েছে ৩ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা। সেই সঙ্গে হোটেল ম্যানেজার এবং আরও দুই কর্মীকে গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ আপাতত হোটেলটি সিল করে দিয়েছে। এছাড়াও ব্যারাকপুর-কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে আরও বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। সেই বেশিভাগ হোটেলগুলিতে এইরকম চলছে দেহ ব্যবসা। কাস্টমের দের মদ এর পাশাপাশি হোটেলে বিভিন্য বয়সী মেয়ে সার্ভ করে থাকেন দালালরা। হোটেলের মালিকের সহযোগিতায় চলে মধুচক্র।
এক হোটেল মালিক জানান আমাদের হোটেলে কি হয় এটা সকলে জানেন। এতে নতুন কি আছে। পুলিশের হিস্সা বাঁধা আছে। নেতারাও তার ভাগ নিয়ে যান তাই ভয়ের কি আছে ? মাঝে মাঝে মাসিক চুক্তি বাড়ানোর জন্য পুলিশ অভিযান চালায়। ফের দর ঠিক হয়ে গেলেই সব ঠিক আছে। এছাড়া বয়েস 18 হয়ে গেলে আমরা কাউকে বলতে পারিনা কেন সে হোটেলে আসছে।