অবতক খবর,২৬ মার্চ: করোনার বিরুদ্ধে প্রচার চলছে, সর্তকতা চলছে। মানুষও সচেতন অনেকটাই। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ বাড়াবাড়ি করে ফেলছে। তারমধ্যে যুক্ত হয়ে পড়েছে সিভিক পুলিশ। মানুষকে পিটিয়ে তার হাতের সুখ মিটিয়ে নিচ্ছে। তারা কোন কিছু জানতে চাইছে না। তারা বলছে মাস্ক নেই কেন, বেরিয়েছেন কেন?
এখন প্রশ্ন প্রশাসনিকভাবে সবাই কি মাস্ক পেয়েছে? সেই ভাবে গুরুত্ব সহকারে কি বিলিবন্টন করা হয়েছে? সরকারি পরিকাঠামো কি বিশেষভাবে তৈরি আছে?
আমরা দেখেছি এলাকায় এলাকায় এমন কোন পরিকাঠামো নেই। জনপ্রতিনিধি, যাদের ইংরেজিতে বলে কাউন্সিলর, তারা বেপাত্তা। তারা নিজেদের ওয়ার্ডের দিকে বিন্দুমাত্র নজর রাখছেন না।
এইদিকে হাওড়া সাঁকরাইলে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। ফলে হিতে বিপরীত না হয়ে যায়। সাঁকরাইলে এক ব্যক্তি তার শিশুর জন্য দুধ কিনতে গিয়েছিল। কিন্তু সে পুলিশের কাছে বিনীতভাবে বলেছিল যে, সে তার শিশুর জন্য দুধ কিনতে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাকে ছাড়েনি বেদম পিটিয়েছে। প্রায় অসুস্থ করে ফেলেছে। সে বহু জায়গায় আঘাত পেয়েছে এবং জখম হয়েছে।
সবে আজ মাত্র তিন দিনে পড়ল লকডাউন। বাকি ১৮ দিনে লকডাউনে কতরকম ঘটনা ঘটবে তার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
সরকারি প্রশাসন কেন এদিকে নজর দিচ্ছে না, তারা ক্ষমতা পেয়ে কি যা ইচ্ছা তাই করে যাবে?